West Bengal News

দিঘা-সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৯৫ কিমি দূরে বুলবুল, জলোচ্ছ্বাস-বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া উপকূলে

ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান এবং গতিবিধির উপর নিরন্তর নজর রেখে চলেছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:১৯
Share:

সাগরদ্বীপে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, আকাশে কালো মেঘ। শনিবার সকালে। ছবি: পিটিআই

ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েই দিঘা ও সাগরদ্বীপের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থতির তদারকি করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির উপর নজর রেখেছে নৌবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

Advertisement

আবহাওয়া দফতর দুপুর দুটোয় দেওয়া বার্তায় জানিয়েছে, বর্তমানে দিঘা ও সাগরদ্বীপ উপকূল থেকে ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে। কলকাতা থেকে বুলবুলের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম। এ ছাড়া ওড়িশা উপকূলের চাঁদবালি থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পারাদ্বীপ থেকে ১২৫ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে, বালেশ্বর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং বাংলাদেশের ২৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। তবে ঠিক কোন এলাকায় সমতলে আছড়ে পড়বে বুলবুল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয়।

বুলবুল যত স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে, বাড়ছে প্রশাসনিক তৎপরতা। নবান্ন সূত্রে খবর, সুন্দরবনের উপকূল এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমুদ্র উপকূল এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। তার সঙ্গে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। তার মধ্যেই কড়া নজর রেখেছেন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। কাউকে সমুদ্রের ধারে-কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে, মসজিদ বিকল্প জায়গায়

আরও পড়ুন: সব স্কুল বন্ধ, ঝড় সামলাতে সরানো হচ্ছে লোকজন

ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান এবং গতিবিধির উপর নিরন্তর নজর রেখে চলেছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় সেই মতো নবান্নকে তাঁরা জানাচ্ছেন। সেই অনুযায়ী জেলার আধিকারিকদের বার্তা পাঠাচ্ছেন নবান্নের কর্তারা। প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।

তবে প্রশাসনের দুশ্চিন্তা বেড়েছে দিঘা এবং সাগরদ্বীপ নিয়ে। কারণ এখনও পর্যন্ত এই দুই উপকূলেরই সবচেয়ে কাছে রয়েছে ‘বুলবুল’। সেই কারণেই এই দুই জায়গায় বুলবুল মোকাবিলায় আলাদা করে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement