West Bengal News

‘বুলবুল’-এর মোকাবিলায় তৈরি প্রশাসন, পাশে কেন্দ্রও, ৭ জেলার প্রাথমিক স্কুল বন্ধ

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বা সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মের আকার নিয়েছে বুলবুল। শনিবারের মধ্যেই উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ১২:১৬
Share:

এমনই জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা সমুদ্র উপকূলে। —ফাইল চিত্র ‌‌

শক্তি বেড়েছে। এ বার ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের গতিবেগ এবং তার প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তাঁ আঁচ করার চেষ্টা যেমন করছেন আবহবিদরা, তেমনই কোমর বেঁধে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। উপকূলীয় জেলাগুলিকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ গিয়েছে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে। আজ শুক্রবার থেকেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ। যাঁরা এখনও সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। বুলবুলের মোকাবিলায় বৈঠক হয়েছে কলকাতা পুরসভাতেও।

Advertisement

ক্ষয়ক্ষতি ও বিপর্যয়ের আশঙ্কায় নবান্নের তরফ থেকে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা এবং ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে চলেছে। এই সাত জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৎপর রয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভাও। প্রশাসনিক আধিকারিকদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

কেন্দ্রের তরফেও সতর্ক করা হয়েছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গকে। দুই রাজ্যের প্রশাসনকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র এ বিষয়ে দুই রাজ্যের প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছেন। পাশাপাশি পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব রকম সাহায্য়ের আশ্বাসও দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সাতকাহন

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বা সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মের আকার নিয়েছে বুলবুল। শনিবারের মধ্যেই উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমেই পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে বুলবুল। তবে বারবার গতিপথ বদলানোয় উপকূলের ঠিক কোন এলাকায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিত নয় আবহবিদদের কাছে। তবে এ রাজ্যের সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে কোনও একটি জায়গায় স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা।

তাই বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন। তাই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালির মতো উপকূলবর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে আজ শুক্রবার থেকেই সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের। এই সব উপকূলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। উপকূল জুড়ে চলছে চলছে মাইকিং। উদ্ধারের জিনিসপত্র ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে তৈরি রয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার নজরদারি।

আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার অপারেশন, হাবড়ায় বিডিও এবং তাঁর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে দুঃসাহসিক ডাকাতি

আরও পডু়ন: আতিশ তাসিরের ওসিআই বাতিল কেন্দ্রের, মোদীকে ‘ডিভাইডার ইন চিফ’ বলেই কি কোপে লেখক?

এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভাও বুলবুল নিয়ে বৈঠক করে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে। বুলবুলের প্রভাবে গাছ উপড়ে বা ভেঙে পড়লে সেগুলি দ্রুত সরানোর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে পাম্পিং স্টেশনগুলি সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement