দিঘায় জলোচ্ছ্বাস। —নিজস্ব চিত্র
সুপার সাইক্লোন ‘আমপান’-এর প্রভাব শুরু হয়ে গেল দিঘা। দুপুর থেকেই শুরু হয়ে গেল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, সময় যত এগোবে, বৃষ্টি আরও বাড়বে। অন্য দিকে দিঘা-শঙ্করপুর এলাকায় প্রশাসনিক তৎপরতাও তুঙ্গে। কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপকূলে টহল দিচ্ছে এনডিআরএফ। মাইক প্রচারের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। মজুত করা হচ্ছে ত্রিপল ও খাদ্যসামগ্রী।
সন্ধ্যার দিকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দিঘা স্টেশন থেকে দু’টি লোকাল ট্রেন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওল্ড ও নিউ দিঘায় সমুদ্রের কাছাকাছি থাকা হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলির কর্মীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার দিঘা যাচ্ছেন রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার বিকেলে রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন ‘আমপান’। দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও এলাকায় উপকূলে আঘাত হানবে আমপান। আমপানের আসার আগেই তার প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিঘায় ছিল মেঘলা আকাশ। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শুরু হয় ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে মাঝে মধ্যেই দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
প্রশাসনিক মহলেও যুদ্ধকালীন তৎপরতা। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়ে প্রচুর স্কুল ভবনকে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। আপৎকালীন প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহার করা হবে। ত্রিপল, শুকনো খাবার, ওষুধের মতো ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: দিঘা থেকে ৫১০ কিমি দূরে আমপান, ঝোড়ো হাওয়া উপকূলে
আরও পড়ুন: ৩ লক্ষ লোককে সরালো প্রশাসন, কাল বাড়ির বাইরে বেরবেন না: মমতা
লকডাউনের জেরে দিঘার হোটেলগুলি পর্যটকশূন্য। তবে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে দিঘা-শঙ্করপুর এলাকায় উপকূল বরাবর মাইক প্রচার করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। সঙ্গে রয়েছে কোস্টাল পুলিশ, নুলিয়ারাও। দিঘা উপকূলে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি দিঘা ও কাঁথিতে দোকানপাট খোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। হলদিয়া কোস্টগার্ডকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জনসাধারণের জন্য একটি হেল্প লাইন নম্বরও ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।