নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যে আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন) পরিস্থিতি দেখার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে শুক্রবারই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে টুইট করে জানানো হয়েছে, আগামিকাল আকাশপথে রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করবেন মোদী। একই সঙ্গে ওডিশাতেও যাবেন তিনি। এর পর গোটা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে মোদীর। এর পর তিনি সেখান থেকে বসিরহাটে যেতে পারেন। সেখানে এক প্রস্থ বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে ফের কলকাতা বিমানবন্দরে আসবেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখান থেকে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
বুধবার অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে আমপান ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। ঘন্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল এ রাজ্যে। কোথাও আবার ঝড়ের গতি উঠেছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। রাতেই নবান্নে বসে পুরো বিষয়টা নজরদারি চালিয়েছেন মমতা নিজেই। আমপানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার জন্য দেশের মানুষের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান তিনি। সহযোগিতা চেয়ে পাঠান কেন্দ্রের কাছেও। বৃস্পতিবার টুইট করে মোদী সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “এমন এক সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে।” আমপানের প্রভাবে ইতিমধ্যেই ৭২ জনের মৃত্যু গোটা রাজ্যে। তার মধ্যে শুধু কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। প্রথমে জানা গিয়েছিল কলকাতায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বাকি ৪ জনকে শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ত্রাণ-পুনর্গঠনে হাজার কোটি ঘোষণা মমতার, বেহিসেবি খরচে কড়া নিষেধ