State News

বোবা মোবাইল, স্তব্ধ নেট, রাজ্যবাসী যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা

আমপান আছড়ে পড়ার পর থেকেই মোবাইল ফোনে কথা বলে দুরূহ হয়ে উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ২০:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিপর্যস্ত মোবাইলের নেটওয়ার্ক। এক সেকেন্ড কথা বলাই এখন দায়! দুর্বল নেটওয়ার্ক-এর কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন) আছড়ে পড়ার পর থেকেই মোবাইল ফোনে কথা বলে দুরূহ হয়ে উঠেছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে, কে-কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন তারও খোঁজ নেওয়াও যাচ্ছে না।

Advertisement

মোবাইল সংস্থার কর্মরত এক কর্মীর বক্তব্য, ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক জায়গাতে মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ফলে ওই সব এলাকায় সমস্যা হচ্ছে। আর যেখানে টাওয়ার অক্ষত আছে, সেখানে সমস্যা নেই।

গোবরডাঙার বাসিন্দা ভোডাফোন গ্রাহক ভবতোষ বিশ্বাস জানান, “গত কয়েকদিন ধরেই ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না কারও সঙ্গে। অনেক সময় ফোন লাগলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ইন্টারটেনে নেই। ফলে কিছুই করা যাচ্ছে না।”

Advertisement

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ নেই, জলের হাহাকার, দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ

আরও পড়ুন: দু’দিনে কি সব কিছু স্বাভাবিক করা সম্ভব? আমপান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য মমতার

টালিগঞ্জের বাসিন্দা এয়ারটেল গ্রাহক অভিজিৎ মিত্রেরও একই অভিযোগ। তাঁর কথা: “ঝড়ের পর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়েছিল। ইন্টারনেটের অবস্থাও খুব খারাপ।”

বেহালার জিও-র গ্রাহক অমিত ভাওয়ালের বাড়িতে বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইলেও একটি অবস্থা। কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে অমিত। পেশায় তিনি মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। বিভিন্ন ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করতে গিয়ে মহা ফাঁপরে পড়েছে মোবাইল নেওয়ার্কের কারণে। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কুরিয়ারে জিনিসপত্র আসছে। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে কেউ আমাকে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।”

যদিও মোবাইল সংস্থাগুলি গ্রাহকদের এসএমএস পাঠিয়ে এ বিষয়ে জানাচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরও ভাল এবং উন্নমানের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement