ফাইল ছবি
গত সপ্তাহে বড় অঙ্কের আফগান মুদ্রা-সহ কলকাতা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শুল্ক দফতর। ওই মুদ্রাকে বেআইনি ভাবে ভারতীয় টাকায় পরিবর্তন করাই ধৃতদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আফগান মুদ্রা লেনদেন এবং বিনিময়ের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানান এক আধিকারিক।
প্রশ্ন উঠছে, এই অর্থ কি সন্ত্রাসবাদীদের মদতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে যাচ্ছিল? আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের পর কলকাতায় এত বড় অঙ্কের আফগানি মুদ্রা কোথা থেকে এল? নাকি আফগানিস্তান থেকে আসার সময় কেউ ওই মুদ্রা সঙ্গে করে এনেছেন? এ সবের তদন্ত করে দেখছে শুল্ক দফতর।
গত সপ্তাহে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিবাদি বাগ এলাকায় হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখানেই দুই সন্দেহভাজনের কাছ থেকে ২৯ লক্ষ ৯০ হাজার আফগান মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
বাজেয়াপ্ত আফগান মুদ্রার উৎস-সহ সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মের জন্য এই মুদ্রা লেনদেন করা হচ্ছিল কি না, জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। তবে শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধৃতরা ওই মুদ্রা পেয়েছিল। সম্ভবত আফগানিস্তান থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ওই আফগানি মুদ্রা দেশে আসে। এবং ওই মুদ্রাকে ভারতীয় টাকায় বদলানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল বলেই তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা। উদ্ধার হওয়া ওই আফগান মুদ্রা বাংলাদেশ পাঠানোই ধৃতদের মূল উদ্দেশ্য ছিল কি না, সে বিষয়েও জানার চেষ্টা চলেছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া আফগান মুদ্রা যে সন্ত্রাসের কাজেই ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয়েছিল, এখনও এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই শুল্ক দফতর সূত্রে খবর।