রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
সমাবর্তনে ঢুকতে বাধা পাওয়ার পরে তিনি অনুষ্ঠানস্থল ছেড়েছিলেন মঙ্গলবার। কিন্তু সে ভাবে তোপ দাগেননি। মুখ খুললেন আজ। রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তীব্র সমালোচনা করলেন গতকাল নজরুল মঞ্চে ঘটে যাওয়া ঘটনার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মঞ্চে পৌঁছনোর পথে তাঁকে যে ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছিল, রাজ্যপাল তার কঠোর নিন্দা করলেন এ দিন। ‘রাজ্যের পক্ষে অন্ধকারতম দিন’ বলেও আখ্যা দিলেন। রাজ্য প্রশাসনকে সরাসরি আক্রমণ না করলেও রাজ্যপালের ইঙ্গিত, ওই ঘটনা ‘ইচ্ছাকৃত’ ঘটতে দেওয়া হয়েছে।
নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার আয়োজিত হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। একদল বিক্ষোভকারী সেখানে ঢুকতে দেয়নি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। রাজ্যপাল সমাবর্তনস্থল থেকে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজভবন জানিয়েছিল যে, বুধবার রাজ্যপাল সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। তখনই বোঝা গিয়ছিল, সমাবর্তনের দিন খুব বেশি প্রতিক্রিয়া না দেখালেও তিনি পরের দিন মুখ খুলতে চলেছেন।
রাজ্যপাল এ দিন বলেছেন, ‘‘গতকালের ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত, রাজ্যের পক্ষে অন্ধকারতম দিন।’’ সমাবর্তনের দিনটা যে পড়ুয়াদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য— মঙ্গলবার যে ভাবে ডিগ্রি প্রদান করতে না দিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপালকে সমাবর্তনস্থল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, তাতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৩ বছরের ঐতিহ্য নষ্ট হয়েছে। যাঁরা তাঁকে বাধা দিয়েছেন, তাঁরা সকলে ছাত্র ছিলেন না বলেও রাজ্যপাল এ দিন ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন: বয়কট করল উড়ান সংস্থা, কুণালের প্রশ্ন, ‘আমি কি হাঁটতে পারি মোদীজি’
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার চেষ্টা গুয়াহাটিতে, ঝুলে পড়া মহিলাকে বাঁচাল কলকাতা পুলিশ
শুধু সমাবর্তনের কারণে নয়, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন নোবেলজয়ীকে সাম্মানিক ডি-লিট দেওয়ার মতো বিশেষ অনুষ্ঠানও যে মঙ্গলবার ছিল, সে কথাও এ দিন মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই রকম একটা অনুষ্ঠানে কোন বুদ্ধিতে গোলমাল পাকানো হল, সে প্রশ্ন তুলে ধনখড় এ দিন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
সরাসরি না হলেও, রাজ্যপাল কিন্তু এ দিন পরোক্ষে প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন। সমাবর্তনে ঢুকতে তাঁকে যাঁরা বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা শিক্ষা জগতের কেউ নন বলে রাজ্যপালের দাবি। তাঁদের ‘কুৎসিৎ শক্তি’ বলে অভিহিত করেন ধনখড়। তার পরেই তিনি বলেন— মঙ্গলবার যে ‘মহান মুহূর্ত’ তৈরি হতে চলেছিল, ‘তাকে কুৎসিত শক্তির গ্রাসে যেতে দেওয়া হয়েছে ইচ্ছাকৃত’।