নরোত্তম মণ্ডল
সিপিএম কর্মীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের। বুধবার সকালে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার বাপুজি পঞ্চায়েতের তক্তিপুর গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম নরোত্তম মণ্ডল (৪৮)। বছর দশেক আগে তৃণমূল করতেন তিনি। পরে যোগ দেন সিপিএমে। তাঁর স্ত্রী প্রমীলার দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে নানা ভাবে শুরু হয় অত্যাচার। সিপিএম করায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য হয়। দীর্ঘ দিন ঘরছাড়া ছিলেন নরোত্তম। প্রমীলার আরও অভিযোগ, স্বামীকে তাদের হাতে দিলে ৫ হাজার টাকা ইনাম মিলবে বলেও ঘোষণা করে তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী। নরোত্তম এ বছর বিধানসভা ভোটের আগে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু তার পরেও টাকা চেয়ে হুমকি আসছিল।
সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল দলটা তোলাবাজেরাই চালাচ্ছে। উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) শহিদ দিবস পালন করছেন। আর আমাদের লোকজনকে শহিদ করছেন।’’ শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ‘প্রতিবাদ দিবস’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
খুনের ঘটনাকে পারিবারিক বলেই দাবি তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি শক্তি মণ্ডলের। ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ জড়িত বলে মানতে চাননি তিনি। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, তোলাবাজি-দুর্নীতি শক্ত হাতে মোকাবিলার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। খুনের ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিশ্বনাথ পাত্র, সুভাষ গুড়িয়া-সহ ২০ জন তৃণমূল কর্মীর নামে এফআইআর দায়ের করেছেন প্রমীলা। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) চন্দ্রশেখর বর্ধন। প্রমীলাদেবীর অভিযোগ, এ দিন সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বেলুনি মোড়ের কাছে নরোত্তমবাবুর পথ আটকায় তৃণমূলের লোকজন। লাঠি-রড দিয়ে মারধর করে। পরে ভ্যানে চাপিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি আসার পরে মিনিট পাঁচেক বেঁচেছিলেন নরোত্তম। তখনই কয়েকজনের নাম বলে গিয়েছেন।