—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে কলকাতায় আগামী সপ্তাহে জোড়া সমাবেশ করতে চলেছে সিপিএম তথা বামেরা। খাদ্য আন্দোলনের ‘শহিদ দিবস’কে স্মরণে রেখে ধর্মতলায় বামফ্রন্টের সমাবেশ আগামী ৩১ অগস্ট। তার দু’দিন আগে যাদবপুরের ৮বি মোড়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ডাকে ছাত্র সমাবেশে বক্তা হিসেবে থাকার কথা দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর। আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার সেলিম বলেছেন, ‘‘র্যাগিং থেকে রিগিংয়ের প্রতিবাদ হবে ৩১শে-র সমাবেশে। যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর বিচার, র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দখলদারি বন্ধের দাবিতে ২৯শে সমাবেশ করবে এসএফআই।’’ প্রসঙ্গত, ওই সমাবেশের বক্তা তিন সিপিএম নেতাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।
ব্রিটিশ আমলে দুর্ভিক্ষের ৮০ বছর পূর্তি হয়েছে এ বার। খাদ্য সঙ্কটের সময়ে বামপন্থী কৃষক আন্দোলন ও সংগঠনের ভূমিকা স্মরণে রেখে এবং মোদী জমানায় এখন খাদ্যদ্রব্য-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩১ তারিখের সমাবেশ করতে চলেছে বামফ্রন্ট। শহরের চার দিক থেকে চারটি মিছিল সে দিন সমাবেশস্থলের দিকে আসবে। পঞ্চয়েত ভোটে ‘রিগিং’ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাগিং’, এই দুই বিষয় নিয়েই জোড়া সমাবেশে সরব হতে চায় বামেরা। যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় সোমবারই সরাসরি সিপিএমকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে এ দিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম পাল্টা বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একদম নিম্ন শ্রেণির মিথ্যাচার করছেন! তিনিই পুলিশমন্ত্রী। তাঁর পুলিশ যাঁদের গ্রেপ্তার করেছে তদন্তের জন্য, তার মধ্যে সিপিএমের কেউ নেই। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনেরও কেউ নেই। পুলিশ এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত সব অংশের কাছে আমাদের দাবি, কারও বক্তব্যে প্রভাবিত হবেন না।’’ সেলিমের অভিযোগ, ‘‘আরএসএসের ছক অনুযায়ী সংগঠিত বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী। সারা দেশে জেএনইউ থেকে জামিয়া মিলিয়া, সর্বত্র এই ছকেই চলছে আরএসএস এবং বিজেপি।’’
সূত্রের খবর, ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সেলিমের যৌথ প্রচারের পরিকল্পনা হয়েছিল ৩০ অগস্ট। কিন্তু লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীরের সাসপেনশনের বিষয়ে স্বাধিকার কমিটির বৈঠক রয়েছে সে দিনই। ফলে, দিল্লি যেতে হবে অধীরকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ধূপগুড়ির সভা আগামী ২ সেপ্টেম্বর করা যায় কি না, তা নিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে কথা হচ্ছে।