প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। আসন ভাগ বা আনুষঙ্গিক অন্য বিষয়ে কংগ্রেস নেতাদের একাংশ নানা দাবি তুলতে শুরু করলেও সিপিএম এখনই পাল্টা সরব হবে না বলে ঠিক করছে। বরং, অতীতের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে আসন-রফার শর্ত ও প্রক্রিয়া মসৃণ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
জোট গড়ে লড়াইয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও কে কোথায় কত আসনে লড়বে, তা নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের আলোচনা এখনও শুরু হয়নি। এরই মধ্যে রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের কেউ কেউ ৬০% আসনের দাবি তুলছেন, একাংশ আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ করার কথাও বলছেন। আলিমুদ্দিনে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই গোটা বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেসের মনোভাবে জোট শিবিরে যে ‘বিভ্রান্তি ও অস্বস্তি’ তৈরি হচ্ছে, বৈঠকে সেই অসন্তোষ গোপন করেননি রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বেশ কয়েক জন সদস্যই। তবে আলোচনায় ঠিক হয়েছে, সিপিএমের তরফে এমন কিছু করা হবে না, যাতে জোটের বাতাবরণে তার আঁচ এসে পড়ে। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁদের পদক্ষেপ হবে সতর্ক। মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও সতর্ক ও সংযত থাকতে হবে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটেও আসন সমঝোতার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কিছু মন্তব্য ও পদক্ষেপের জেরে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা ভেস্তে গিয়েছিল। তার পুনরাবৃত্তি চাই না। বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করাই মূল লক্ষ্য।’’ সূত্রের খবর, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্যের এক প্রস্ত কথাও হয়েছে।
বিমানবাবু এ দিনই জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকাল ট্রেন-সহ পরিবহণ স্বাভাবিক করা, হকার-সহ প্রান্তিক মানুষের জীবিকার দিকে খেয়াল রাখা, বাস-ট্যাক্সি-অটোর ভাড়া বেঁধে দেওয়ার মতো একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর রাজ্য জুড়ে স্টেশন, বাস ডিপো, বাস স্ট্যান্ডে প্রচার-সভা করবে বামফ্রন্ট।