মুকুন্দপুরে বিক্ষোভ জমায়েতে সুজন চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আরও বেশি অস্থায়ী হাসপাতাল এবং অ্যান্টিবডি পরীক্ষার দাবি তুলল সিপিএম। তাদের মতে, এখনও সময় আছে সরকারের সক্রিয়তা দেখানোর।
সম্প্রতি রাজ্য কমিটির সদস্যদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়েছিল সিপিএম। সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে চেন্নাই থেকে। দলের রাজ্য সম্পাদক এবং চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে না। কিন্তু কারও শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থেকে সেই এলাকায় ভাইরাসের উপস্থিতির আন্দাজ পাওয়া যায়। সূর্যবাবুর কথায়, ‘‘কেরল-সহ কিছু রাজ্য অ্যান্টিবডি পরীক্ষা বেশি মাত্রায় করিয়েছে। যে এলাকায় অ্যান্টিবডি বেশি পজ়িটিভ পাওয়া যাবে, সেই এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউন বা কনটেনমেন্ট জ়োন করতে সরকারেরই সুবিধা হবে।’’
আলিমুদ্দিনে বুধবার সূর্যবাবু বলেছেন, ইতিমধ্যে নবান্নে দু’বার সর্বদল এবং এক বার বাম প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক— মোট তিন বার তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু সেইমতো ব্যবস্থা কিছু হয়নি। সূর্যবাবুর বক্তব্য, ‘‘এখনও সময় আছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচি নিচ্ছি। কিন্তু কোথায় কেমন গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে, তার তথ্য সরকার না দিলে মানুষ সতর্ক হবেন কী করে?’’
এই সূত্রেই স্টেডিয়াম বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করে উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা রাখা এবং চিকিৎসার খরচও যাতে সরকার বেঁধে দেয়, সেই দাবিও রয়েছে তাঁদের। ন্যায্যমূল্যে চিকিৎসার দাবিতেই এ দিন মুকুন্দপুরে বেসরকারি হাসপাতালের কাছে নাগরিক ফোরামের বিক্ষোভ-সভায় ছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।