বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন দলে
CPIM

হুঙ্কার নয়, নীতিতেই আছে সিপিএম, ব্যাখ্যা সেলিমের

দলের অবস্থানে ‘দ্বিধা’র জন্য এ পারের ওই বাসিন্দাদের কাছে সিপিএম ‘ব্রাত্য’ হয়ে পড়ছে কি না, সেই উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৪
Share:

সিপিএমের সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম। —ফাইল চিত্র।

একের পর এক জেলা সম্মেলনে বাংলাদেশ-কাণ্ডে দলের অবস্থান ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। আগের কয়েকটি জেলার মতো পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলা সম্মেলনেও প্রতিনিধিদের বড় অংশ এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন। সূত্রের খবর, এমনকি, পোর্ট ব্লেয়ারে সিপিএমের আন্দামান রাজ্য সম্মেলনেও এসেছে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। সম্মেলন-পর্বের মাঝেই আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দলের অবস্থান ফের স্পষ্ট করে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর মতে, ঘরের পাশে বাংলাদেশ বা যেখানেই সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ হোক, তার বিরোধিতা কমিউনিস্ট পার্টি করেছে এবং করবে।

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, কালনায় সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান ও সিউড়িতে বীরভূম জেলা সম্মেলনে এরিয়া কমিটি থেকেশুরে করে জেলা স্তরের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে দল কেন আরও তৎপর হল না? প্রতিনিধিদের অনেকের বক্তব্য, ও’পারে দু’কোটি সংখ্যালঘু হিন্দু থাকলে তাঁদের আত্মীয়-স্বজন এ পারে অন্তত চার কোটি রয়েছেন। দলের অবস্থানে ‘দ্বিধা’র জন্য এ পারের ওই বাসিন্দাদের কাছে সিপিএম ‘ব্রাত্য’ হয়ে পড়ছে কি না, সেই উঠেছে। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপরে নিপীড়নের প্রতিবাদে বিজেপির ভাষা-ভঙ্গি এড়াতে গিয়ে তাদেরই জমি শক্ত করার সুযোগ দিয়ে দেওয়া হল কি না, সেই সংশয়ও এসেছে। প্রসঙ্গত, সম্মেলন থেকে ফের পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূমের জেলা সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে সৈয়দ হোসেন ও গৌতম ঘোষ।

দলের মধ্যেই নানা প্রশ্নের আবহে দলীয় মুখপত্রে আগামী রাজ্য সম্মেলনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সেলিম মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে ইসলামি মৌলবাদী শক্তির তাণ্ডব এবং সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদ সিপিএম করছে। তাঁর বক্তব্য, ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মেশালে সেটা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান যেখানেই হোক, তা বিপজ্জনক। এই সূত্রেই বিজেপিকে বিঁধে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, যে যেখানে সংখ্যায় বেশি, তারা অন্যদের উপরে অত্যাচার করলে ‘সংখ্যাধিক্যবাদ’ বলে। কোথাও ‘ইসলাম খতরে মে হ্যায়’ বলে হিন্দু, শিখদের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। আবার এ দেশেও যারা ‘হিন্দুরা বিপদে’ বলে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ধ্বং‌স করতে চাইছে, তারাই সম্ভলে হিংসা ঘটিয়েছে। সেলিমের অভিযোগ, ভারত ও বাংলাদেশের কিছু রাজনীতিক যে ভাবে পরস্পরের উদ্দেশে হুঙ্কার দিচ্ছেন, তাতে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মারাত্মক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement