প্রতীকী ছবি।
ঝাড়গ্রামে শবরদের ‘গণমৃত্যু’র ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধেই সরব হল বিরোধীরা। পূর্ণাপানি গ্রামের জঙ্গলখাসে দু’দিন আগে সিপিএম বিধায়কদের প্রতিনিধিদল গিয়েছিল মৃতদের পরিজনের সঙ্গে কথা বলতে। বিধায়ক-দলের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সোমবার অভিযোগ করেছেন, সরকারি প্রকল্পের নিয়মিত সুযোগ-সুবিধা থেকে ওখানকার মানুষ বঞ্চিত। শুধু নেতা-মন্ত্রীরা ঘটনাস্থলে গেলেই সমস্যার সমাধান হবে না। একই অবস্থান কংগ্রেসেরও। সরকার অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ।
সিপিএম বিধায়কেরা পূর্ণাপানিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মৃত এক জনের সন্তান বলছে, ‘‘বাবা মারা গিয়েছে। তাই খাবার পাচ্ছি।’’ মৃত্যুর খবর সামনে আসার পরে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে মহাভোজের আয়োজন সম্পর্কেই ওই মন্তব্য। যা দেখিয়ে সূর্যবাবুর দাবি, সরকারের এই বিশেষ আয়োজনই বলে দিচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘শুধু নেতা-মন্ত্রীরা গেলেই হবে না। ওই এলাকায় প্রতিটি সরকারি প্রকল্প নিয়মিত চালু রাখতে হবে। সরকারি প্রকল্পের ন্যায্য পাওনা গরিব মানুষের কাছে পৌঁছনোর নিশ্চয়তা চাই।’’ যদিও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তৃণমূল নেতা সুকুমার হাঁসদার বক্তব্য, সরকারি প্রকল্প ওখানে চালুই আছে। তবে কোথাও কোনও ত্রুটি থেকে যাচ্ছে কি না, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পূর্ণাপানিতে সিপিএম বিধায়কদের সঙ্গে গিয়েছিল কংগ্রেস বিধায়কদের দলও। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ দিন শবর-মৃত্যু প্রসঙ্গে বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। স্পিকার তাঁকে অনুরোধ করেছেন, ওই প্রস্তাব পরের দিন আনতে। সেইমতো আজ, মঙ্গলবার সভায় আনার জন্য ফের প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিরোধীরা। এই আবহেই আজ শুরু হচ্ছে রাজ্য সরকারের খাদ্য উৎসব ‘আহারে বাংলা’। শবরদের অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর অভিযোগের সময়ে উৎসব কেন, এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধীরা।