সুজন চক্রবর্তী।
বিজেপি-কে ঠেকাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে বামেদের আপত্তি নেই, রবিবার জানিয়েছিলেন বিমান বসু। কিন্তু সোমবার একেবারে উল্টো কথা বললেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের এক হওয়ার প্রশ্ন অবান্তর।
রাজ্য রাজনীতি যখন বিমানের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে, তখন ভোটের আগে প্রচারে আনা ‘বিজেমুল’ তত্ত্ব মেনেই সুজন এখনও বললেন, ‘‘কোন দুঃখে তৃণমূলের সঙ্গে বামেরা এক হবে? বিজেপি-র বিরুদ্ধে তৃণমূল কবে লড়াই করল? বিজেপি-র সঙ্গে সরকার গড়েছে, জোট করেছে, এ রাজ্যে বিজেপি-কে নিয়ে এসেছে, ৩ থেকে বিধানসভায় বিজেপি-কে ৭৭ করেছে।’’
বাংলার ভোটের পরে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসাবে আলোচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। কিন্তু সুজনের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল এখন বিজেপি-র সঙ্গে থাকবে, নাকি বিরুদ্ধে থাকবে, সেটা তৃণমূলই ঠিক করুক। আরও তিন বছর বাকি লোকসভা নির্বাচনের। আমরা চাই ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি-কে পরাস্ত করতে। এর জন্য সবার দায়িত্ব আছে। জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্ব বেশি। তাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে।’’
কথা প্রসঙ্গে ২০০৪ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন সুজন। বলেন, ‘‘সে বছর নির্বাচনে আমরা বিজেপি-কে হারাতে বলেছিলাম। বলেছিলাম, যেখানে বামেরা নেই, সেখানে বিজেপি-র বিরুদ্ধে যে আছে, তাকে ভোট দিতে। আমরা বিজেপি বিরোধিতায় ধারাবাহিক। তৃণমূলের এই ধারাবাহিকতা আছে?’’
রবিবার তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানো অন্য কথা বলেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তমলুকে সিপিএম নেতা নির্মল জানার স্মরণসভা থেকে বিমান বলেন ‘‘একাধিক বার নয়, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বহু বার ঘটেছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী হোক বা কচ্ছ থেকে কোহিমা, আন্দোলনের প্রশ্ন দেখা দিলেন বিজেপি-বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।’’ তখনই উঠে আসে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রশ্ন। বিমান জানান, ‘‘আমি তো বলছি, বিজেপি ছাড়া যে কোনও দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা। এর পর আর কোনও কথা আছে কি?’’