ব্রিগেড, পেট্রোপণ্য নিয়ে পুজোর পরেই মাঠে বাম

তৃণমূলকে ব্রিগে়ড সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তাদের ব্রিগে়ডের আগে ডিসেম্বরে রথযাত্রার কর্মসূচি থেকে মেরুকরণের হাওয়া তুলতে চাইছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূলকে ব্রিগে়ড সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তাদের ব্রিগে়ডের আগে ডিসেম্বরে রথযাত্রার কর্মসূচি থেকে মেরুকরণের হাওয়া তুলতে চাইছে। জোড়া প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় ব্রিগে়ডে সমাবেশের লক্ষ্যে ঘর গোছাতে শুরু করল বামফ্রন্টও। প্রথমে পরিকল্পনা না থাকলেও এখন যে তাদের ব্রিগে়ডে সভা করতে হবে, বামফ্রন্টের শরিক নেতৃত্বকে সে কথা জানিয়ে প্রস্তুতির কথা বলল সিপিএম।

Advertisement

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরেই দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ব্রিগে়ডের পরিকল্পনা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সেরেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। তার পরেই বাম শরিক নেতাদের আলিমু্দ্দিনে ডেকে ওই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর জানুয়ারি বা ফ্রেব্রুয়ারির গোড়ায় ওই সমাবেশ করার ভাবনা রয়েছে সিপিএমের। কারণ, তৃণমূলের ব্রিগে়ড রয়েছে ১৯ জানুয়ারি। বিজেপির সভা হতে পারে জানুয়ারির চতুর্থ বা পঞ্চম সপ্তাহে। আলিমুদ্দিনে আজ, শুক্রবার ও কাল, শনিবার বসছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানেই তাদের ব্রিগে়ড সমাবেশের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে।

গণসংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র ‘অধিকার যাত্রা’র শেষে সম্প্রতি শহিদ মিনার সমাবেশে তেমন ভিড় টানতে পারেনি বামেরা। তবে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, পুজোর মুখে ওই সমাবেশ প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছয়নি ঠিকই। কিন্তু জেলায় জেলায় পদযাত্রায় এ বার ভাল সাড়া মিলেছে বলেই তাঁদের দাবি। তাই উৎসবের মরসুম ফুরোলেই ব্রিগে়ডের প্রস্তুতিতে বামেরা মাঠে নেমে পড়তে চায়। জেলা কমিটি এবং সব গণসংগঠনকে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব পরামর্শ দেবেন ব্রিগে়ডের লক্ষ্যে ছোট ছোট সভা করার পাশাপাশি বিজেপির রথযাত্রা থেকে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টার বিরুদ্ধেও প্রচার চালানোর। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘বিজেপির অভিসন্ধি ভয়ঙ্কর। তৃণমূলের কাজকর্ম তাদের সাহায্যই করছে। আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে মানুষকে সতর্ক করে গেরুয়া শিবিরকে প্রতিহত করার।’’

Advertisement

ব্রিগে়ডের আগেই আশু কর্মসূচি হিসেবে অবশ্য পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে চলেছে বামেরা। পেট্রল ও রান্নার গ্যাসের দামে মধ্যবিত্ত মানুষ পীড়িত। কিন্তু সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের সঙ্কটের কথা তুলনায় আড়ালে থেকে যাচ্ছে, এই মর্মেই আলোচনা হয়েছে ফ্রন্টে। পুজোর পরে প্রতিবাদের কী ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ ধরে নামা যায়, তা নিয়ে কথা চলছে। উৎসবের মধ্যেই আগামী রবিবার বাম শরিক ও তার বাইরের ১৭ বাম দলকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই প্রতিবাদ কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement