সিপিএম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের রাজ্য কমিটির বৈঠকের আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নে বামফ্রন্টের অন্দরের সমীকরণ স্পষ্ট করে নিতে চাইছে। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতার জট কাটাতে বাম শরিকদের নিয়ে আলাদা করে আলোচনায় বসল সিপিএম। রাজ্যের মোট ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে তিন বাম শরিক আরএসপি, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক মিলিয়ে ১০টি আসনে লড়ে। কিন্তু কংগ্রেস জানিয়েছে, বোঝাপড়া হলে ১০টি আসন বাম শরিকদের ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তার প্রেক্ষিতেই শরিকদের মন বোঝার চেষ্টায় নেমেছে আলিমুদ্দিন। চলতি সপ্তাহেই চার বাম দল মিলে বৈঠক হবে বলেও ঠিক হয়েছে।সিপিএম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের রাজ্য কমিটির বৈঠকের আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নে বামফ্রন্টের অন্দরের সমীকরণ স্পষ্ট করে নিতে চাইছে।
আরএসপি, ফ ব এবং সিপিআই নেতৃত্বের সঙ্গে সোমবার আলাদা বৈঠকে সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু ও রবীন দেব বোঝাতে চেয়েছেন, বামফ্রন্টের তরফে কোনও আলোচনা এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে হয়নি। যতটুকু কথা হয়েছে, সবটাই দলীয় স্তরে সিপিএমের সঙ্গে। শরিক নেতৃত্ব পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁরা লড়ছেন এমন কোনও আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিলে সে ক্ষেত্রে সিপিএমের ভূমিকা কী হবে? বিমানবাবুরা তাঁদের জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের অবস্থানের পক্ষেই সিপিএম থাকবে।
তিন শরিকের মধ্যে আরএসপি-র ক্ষিতি গোস্বামী, বিশ্বনাথ চৌধুরীরা সিপিএমকে জানিয়েছেন, গত বিধানসভা ভোটের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে সমঝোতার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে পা ফেলা উচিত। সূত্রের খবর, আরএসপি-র বহরমপুর, বালুরঘাট বা জয়নগর আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে টানাপড়েনের সম্ভাবনা কম। ফ ব-র ভাগের পুরুলিয়া এবং সিপিআইয়ের বসিরহাটের দিকে বরং কংগ্রেসের নজর বেশি। প্রাথমিক ভাবে, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফ ব-র নরেন চট্টোপাধ্যায়েরা সিপিএমকে জানিয়েছেন, তিনটি করে আসনেই তাঁরা লড়তে চান। তবে সব শরিকই নিজেদের দলে আলোচনা করে ফের আলিমুদ্দিনে বৈঠকে বসবে। আবার সিপিএম কথা বলবে কংগ্রেসের সঙ্গেও।