অজন্তা বিশ্বাস গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাসকে শো-কজ করেছে অধ্যাপকদের নিয়ে গঠিত সিপিএমের কমিটি। এ বার তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট এরিয়া কমিটি ও কলকাতা জেলা কমিটির উপরেই ছেড়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব।
গত ২৮ জুলাই তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তা বিশ্বাসের উত্তর সম্পাদকীয় দেখে বিড়ম্বনায় পড়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। প্রথমে তাঁর লেখা নিয়ে প্রকাশ্যে সিপিএম নেতারা মুখ না খুলতে চাইলেও, পরে দলীয় অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তার উত্তর সম্পাদকীয় লেখাকে খারাপ কাজ বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, ‘‘বিষয়টা আমি শুনেছি। অজন্তা যা করেছে, তা কোনও ভাবেই ছোট করে দেখা যায় না। অজন্তা ইউনিটের সদস্য। যা পদক্ষেপ করার ইউনিট আগে নেবে। তার পর জেলা কমিটি রয়েছে। তার পর আমরা। ওকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ও যা করেছে, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
সূর্যকান্তের এমন মন্তব্যের পরেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, অজন্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপই করতে চলেছে সিপিএম। তা ছাড়া সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনও এরিয়া কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রথমে তাঁকে শো-কজ করা হয়। পরে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ওই এরিয়া কমিটিই। সঙ্গে সঙ্গে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলা কমিটির কাছে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়। ওই গঠনতন্ত্র মেনেই অনিল-কন্যার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ করবে সংশ্লিষ্ট এরিয়া ও জেলা কমিটি।
এক সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘যে কোনও পার্টি কর্মীর কোনও সংবাদপত্রে উত্তর সম্পাদকীয় বা প্রতিবেদন লেখার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু তা বলে পার্টি সদস্য হয়ে বিপরীতমুখী আদর্শে বিশ্বাসী কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপত্রে প্রতিবেদন লেখা শোভা পায় না। সেই কাজ পার্টির বিরুদ্ধে বলেই ধরে নেওয়া হয়। তাই অজন্তা শো-কজের উত্তর দিলেই, পরবর্তী পদক্ষেপ করবে এরিয়া কমিটি।’’