বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী
সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি এবং রেশনের সুবিধাপ্রাপকদের যে সংখ্যা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিপিএম। তাদের দাবি, সরকারের কৃতিত্ব দেখানোর জন্য যেমন খুশি সংখ্যা বলে দেওয়া হচ্ছে! তৃণমূলের আবার পাল্টা অভিযোগ, সরকারের ভাল কাজ মানতে না পেরে বিরোধীরা অনর্থক জলঘোলা করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূলের ২১শে-র ‘ভার্চুয়াল’ সমাবেশে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যে দু’কোটি ৩৮ লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। রেশন দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি মানুষকে। যার প্রেক্ষিতে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, মুখ্যমন্ত্রীর কোনও তথ্যই ঠিক নয়। জনসংখ্যার অনুপাত ধরলে রাজ্যে সংখ্যালঘু মানুষের মোট সংখ্যাই প্রায় আড়াই কোটি। তার মধ্যে দু’কোটি ৩৮ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তি! সংখ্যালঘু বৃত্তি দেওয়ার নামে টাকা কি লুঠ হয়েছে?’’ একই ভাবে সুজনবাবুর প্রশ্ন, রাজ্যের মোট জনসংখ্যাই প্রায় ১০ কোটি এবং তার অন্তত ২০% মানুষ রেশন নেন না। তা হলে ১০ কোটি লোককে রেশন দেওয়া হল কী করে? তা হলে কি সরকারি খাতায় রেশন দেখিয়ে সেই চাল ও অন্যান্য সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে? রাজ্যে বেকারের সংখ্যা ৪০% কমে গিয়েছে এবং এক কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলে যে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতা। এই তথ্যকে ‘অবাস্তব’ বলে দাবি করে তাঁর বক্তব্য, বিধানসভায় সরকারের দেওয়া তথ্যের সঙ্গেও এই কথা মিলছে না। সুজনবাবুর কটাক্ষ, ‘‘এত সব ‘শ্রী’ চালু করেছেন। এ বার ‘মিথ্যাশ্রী’ চালু করা উচিত!’’
মুখ্যমন্ত্রী বলে দেওয়ার পরে তৃণমূলের তরফে কেউ আর আনুষ্ঠানিক ভাবে তথ্য-বিতর্কে মুখ খুলতে চাননি। তবে দলের এক প্রথম সারির নেতার মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, সংখ্যালঘু-সহ বিভিন্ন অংশের মানুষের জন্য এই সরকার যা করেছে, তা আর কেউ করেনি। বিরোধীরা ভাল কাজে থাকে না, অহেতুক জলঘোলা করে!’’