সিএএ-এনআরসি বিরোধী সভায় কানহাইয়া কুমার।—ছবি টুইটার।
দেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামনের সারিতে উঠে এসেছেন বামপন্থী ছাত্র ও যুবরা। সেই আবহেই গত সপ্তাহে কলকাতায় এসে তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমার সওয়াল করে গিয়েছেন, বামপন্থী সংগঠনে নতুন ও যুব প্রজন্মকে গুরুত্ব না দিলে এমন আন্দোলন কাঙ্খিত ফল এনে দেবে না। ‘বৃদ্ধতন্ত্রে’র দাপট কমিয়ে সংগঠনে তরুণ মুখকে কী ভাবে গুরুত্ব দেওয়া যায়, তার পথ নিয়েই এ বার কলকাতায় আলোচনায় বলছে সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদ।
দীর্ঘ দিন পরে এই শহরে হতে চলেছে সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদের বিশেষ অধিবেশন। সংগঠনে পুনর্বিন্যাসের সূত্র সন্ধানের পাশাপাশি বিজেপির চাপিয়ে দেওয়া ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’র মোকাবিলায় বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের পথে আরও এগোনো ওই অধিবেশনের প্রধান আলোচ্য। মেয়ো রোডে কাল, রবিবার সমাবেশের পরে সিপিআইয়ের রাজ্য দফতর ভূপেশ ভবনে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন। জাতীয় পরিষদের পূর্ণ সদস্য ১২৫ জন ছাড়াও আমন্ত্রিত আরও প্রায় ৪০ জন আসছেন কলকাতার অধিবেশনে।
তামিলনাড়ু থেকে দু’জন সাংসদ ছাড়া লোকসভায় এখন সিপিআইয়ের প্রতিনিধি নেই। বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যেই সংগঠনের হাল তথৈবচ। যদিও সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে বামেদের ডাকে ভাল সাড়া মিলছে। এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক কাঠামোর কাটাছেঁড়া করতে চান সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে রাতারাতি মুখ বদলই যে সব সমস্যার সমাধান নয়, তা-ও তাঁরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘বয়সে কেউ তরুণ হলেই মস্তিষ্ক যে প্রখর হবে, তার তো কোনও মানে নেই! তারুণ্য বা সক্রিয়তার সঙ্গে মস্তিষ্ক এবং অভিজ্ঞতার ভারসাম্য দরকার।’’
বিহারে পদযাত্রায় ব্যস্ত থাকায় রবিবারের সমাবেশে কানহাইয়ার আসা অবশ্য অনিশ্চিত। সিপিআই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশ করতে চাইলেও সেখানে তৃণমূলের লাগাতার ধর্না জারি থাকায় তাদের সরে যেতে হচ্ছে মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির নীচে। দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, কৃষক সভার অতুল আনজান, এআইটিইউসি-র অমরজিৎ কউর, মহিলা ফেডারেশনের অ্যানি রাজা প্রমুখ সমাবেশে বক্তা।