সহগলকে জেরা করে গরুপাচারের কিনারা করতে চাইছে সিবিআই।
গরুপাচার-কাণ্ডে ধৃত সহগল হোসেনকে মঙ্গলবার দিনভর টানা জেরা করল সিবিআই। আসানসোল জেলে সিবিআইয়ের দু’জন তদন্তকারী আধিকারিক গিয়ে গরুপাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সহগলকে জেরা করেন।
রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল সহগল বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন। ইতিমধ্যেই সিবিআই সহগল ও তাঁর পরিবারের ৫৯টি স্থাবর সম্পত্তি, বিপুল টাকার বিমা, গয়না, দামি গাড়ি, নগদ অর্থ ও ব্যাঙ্ক আমানতের সন্ধান পেয়েছে। জেরায় এই বিষয়টি এসেছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
গরুপাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে একটা সময় নিয়মিত কথা হত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগলের। ফোনকলের রেকর্ড ঘেঁটে এমনটাই সিবিআই জানতে পেরেছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সহগলের মাধ্যমেই কি গরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি? ওই সূত্রের দাবি, এ বার সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই। এনামুলের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথন প্রসঙ্গও তাই এসেছে মঙ্গলবার আসানসোল জেলে জেরা-পর্বে।
১৮ তারিখ গরুপাচার মামলার শুনানি রয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালতে। সে দিনই সহগলের যে মোবাইল থেকে অনুব্রত এবং অন্য অভিযুক্তেরা কথা বলতেন সেটির প্রসঙ্গ উঠতে পারে। অন্য দিকে, অনুব্রতের কাছ থেকে যে সকল সম্পত্তি ও তথ্যের হদিস সিবিআই পেয়েছে, তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে। অনুব্রতের মেয়ের নামে যে সম্পত্তি রয়েছে, তার ‘উৎস’ নিয়েও মঙ্গলবার দুই তদন্তকারী অফিসার সহগলকে প্রশ্ন করেন বলে ওই সূত্রের খবর।