প্রতীকি ছবি
ভাইরাসের নতুন ‘অবতারের’ ভাবগতিক এখনও পুরো বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার গণ্ডি টপকে সে কবে এ দেশের মাটিতে পা রাখবে, তাও অজানা। কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে। সেই দুশ্চিন্তার তালিকায় বঙ্গের নামও বাদ থাকার কারণ নেই, মত চিকিৎসকদের।
ওই চিকিৎসকেরা জানান, কোন ব্যক্তি ওই নতুন স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’-র বাহক হয়ে কোথায় প্রবেশ করবেন আর তা কোথায় ছড়াবে তা আগাম বলা সম্ভব নয়। তবে তাঁদের মতে, কোভিড সংক্রমণ রোখার প্রধান হাতিয়ার হল মাস্ক। তাই পথেঘাটে মাস্ক পরে থাকতেই হবে। কিন্তু রাজ্যে পুরভোটের প্রচার থেকে জনসভায় সেই নিয়ম কতটা মেনে চলা হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। রাজ্যের এক সংক্রমণ বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘নয়া স্ট্রেন নিয়ে দেশে দুশ্চিন্তা শুরু হয়ছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন নিয়ে রাজ্যে এখনই অযথা আতঙ্কের প্রয়োজন নেই। বরং যদি কোনও ভাবে সেটি প্রবেশ করে, তা থেকে বাঁচতে কী করা প্রয়োজন তা মনে রাখা এবং মেনে চলা জরুরি।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ একেবারে তলানিতে এমন ভাবারও কারণ নেই। শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭০১ জন। আক্রান্তের তালিকায় প্রথমেই কলকাতা। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মারা গিয়েছেন ১১ জন আক্রান্ত। অন্য দিকে আরও দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে প্রথম ডোজ় সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। এ দিন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ়ের নিরিখে রাজ্যে কোভ্যাক্সিন বকেয়া রয়েছে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯১২ (ডিউ: ২,৪৩,৫৩১ এবং ওভারডিউ: ৫,১৬,৩৮১)। কোভিশিল্ড বকেয়া রয়েছে ৩৮ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৯৫ (ডিউ: ২৪,৯৫,৯৮৪ এবং ওভার ডিউ: ১৩,৮৭,৭১১)। অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত দুটি টিকা মিলিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ় বকেয়া রয়েছে ৪৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬০৭ জনের।
অজয়বাবু জানান, বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে সব জওয়ানেরা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে যাওয়ার ফলে তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ় ওভারডিউ দেখাবেই। এর সঙ্গে রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকেরাও। তিনি বলেন, ‘‘কিছু মানুষ মধ্যবর্তী সময়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আর কিছু পরে টিকা পাবেন। পাশাপাশি যাঁদের বকেয়া রয়েছে তাঁদের বুঝিয়ে টিকা দেওয়ানোর চেষ্টা করা চলছে।’’