সংক্রমণ থেকে বাদ পড়ছেন না শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফাইল চিত্র
রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ থেকে বাদ পড়ছেন না শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালেই অন্তত ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমআর বাঙুর হাসপাতালেও আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ১৪। তার মধ্যে ১১ জনই নার্স। দু’জন ডাক্তার। এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদমর্যাদার ব্যক্তিও রয়েছেন। তবে তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এমআর বাঙুর হাসপাতালের ছয় জন স্বাস্থ্যকর্মী ভর্তি রয়েছেন। কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। অক্সিজেনও দিতে হয়নি কাউকে। তবে তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের জ্বর রয়েছে বলে হাসপাতাল সূতি্রে জানা গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা মসৃণ ভাবে চালানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সোমবারই মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকেও উঠে আসে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালের হস্টেলেও নিভৃতবাসে থাকছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
একের পর এক চিকিৎসক, নার্স করোনা আক্রান্ত হলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাতে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা করে স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে কাজের সময় বাড়িয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান এক বেসরকারি হাসপাতালের আধিকারিক।