—নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর ইমেল মারফত সেই নির্দেশিকা আসেনি। ফলে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল করোনা আক্রান্ত এক মহিলাকে। মৃতার ছেলের অভিযোগ, প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষার পর অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়। যদিও হাসপাতাল কর্মীদের পাল্টা দাবি, ওই রোগীকে মাত্র মিনিট পনেরো অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ছাপান্নর ওই মহিলা বোলপুরের রজতপুরের পূর্ব বাহাদুর পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। ৭ দিন আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে বলে জানিয়েছে পরিবার। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন তাঁকে বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যান। তবে সেখান থেকে রোগীকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। মৃতার ছেলে সন্তোষ রায়ের অভিযোগ, “মা’কে ভর্তি করানোর জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানানো হয় যে এ সংক্রান্ত কোনও ইমেল তাদের কাছে আসেনি। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে বার বার জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল। প্রায় ১ ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সে থাকার পর মা মারা যান।”
যদিও মৃতার ছেলের অভিযোগ নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মীর। উল্টে তাঁদের দাবি, “বোলপুর হাসপাতাল থেকে ইমেল না আসায় কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল বটে। তবে তা বড়জোর ১৫ মিনিটের বেশি নয়।” এই ঘটনায় হাসপাতালের সুপার বা অন্য কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।