ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে এ ছবিই দেখা গিয়েছে। (ডান দিকে) অভিযোগকারী রহিমুদ্দিন। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি করার অপরাধে ৪ ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিগৃহীতদের এক জন পুলিশে অভিযোগ করেন। তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযোগকারী নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে গোটা ঘটনাই বিজেপি-র ভুয়ো অভিযোগ বলে দাবি করলেন। এ নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র চাপানউতর শুরু হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপি করার ‘অপরাধে’ চোপড়ার বক্সিভিটা এলাকায় ৪ বাসিন্দার বিরুদ্ধে গরু চুরির ভুয়ো অভিযোগে গাছে বেধে বেধড়ক পেটানো হয়। এমনকি, তাঁদের কান ধরে ওঠবস করানোর পর বিজেপি না করার মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এমন অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডিজিটাল।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই ৩ জুন চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রহিমুদ্দিন নামে নিগৃহীতদের এক জন। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুরজিৎ সেনের অভিযোগ, “ঘটনার পর থেকেই বিজেপি কর্মী রহিমুদ্দিন নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে অত্যাচার করে অভিযোগ উঠিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।” সুরজিতের দাবি, “ক্যামেরার সামনে রহিমুদ্দিনের বয়ানের ভিত্তিতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল।” যদিও স্থানীয় তৃণমুল নেতা মহম্মদ হানিফের পাল্টা দাবি, “ওই ভাইরাল হওয়া মারধরের ঘটনার ভিডিয়ো গ্রামের একটা গরু চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে। রহিমুদ্দিন তৃণমূলের লোক। ওই ঘটনা মিটমাট হয়ে গিয়েছে।”
এই চাপানউতরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চোপড়া থানায় রহিমুদ্দিনের লিখিত আবেদন, ‘আমি তৃণমূল কর্মী। বিজেপি নেতারা ফুঁসলিয়ে, ভুল বুঝিয়ে আমাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। ভিডিয়োর ব্যক্তি আমি নই। আগের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাইছি। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই’।