অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
কোন অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা গ্রেফতারির আগে তাঁকে জানানো হয়নি কেন? সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইল আদালত। আদালত জানিয়েছে, সায়গল হোসেনকে এ বিষয়ে অন্ধকারে রেখে তাঁর মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে সিবিআই। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁকে আটদিনের সিবিআই হেফাজত দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার রাতেই গরু পাচার মামলায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ আদালতে ওঠে মামলাটি। সেখানেই সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘‘সায়গল হোসেনের গ্রেফতারির মেমোতে তাঁকে গ্রেফতার করার সব ধারার উল্লেখ করা হয়নি কেন?’’ আদালত জানায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী মামলা করা হয়েছে বা কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা নিয়ে তাঁকে অন্ধকারে রাখা যায় না। এ ভাবে কারও মৌলিক অধিকার খর্ব করতে পারে না সিবিআই।
গ্রেফতারির পর শুক্রবারই সায়গলকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু সায়গল আসানসোলের বারের কাছে মামলাটি বিশেষ আদালতে শুনানির অনুরোধ করেন। সায়গলের মামলাটির গুরুত্ব বিচার করে বিশেষ আদালতে মামলার শুনানিও হয়। সেখানেই সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আদালতকে জানান, গ্রেফতারি মেমোতে উল্লেখ না করেই সায়গলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১/এ এবং ১৩/১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সিবিআইয়ের ‘ভুল’-এর কথা জানিয়ে সায়গলের জামিনও চান আইনজীবী। এর পরই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে আদালত।
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে তাঁর ছায়াসঙ্গী বলা হয়। আদলতকে তাঁর আইনজীবী বলেছেন, সায়গল একজন পুলিশ কর্মী, রাজ্য সরকারের কর্মচারীও। তাঁকে গ্রেফতার করার আগে পদ্ধতিগত ভাবে তাঁর ডিজিকেও জানানোর কথা ছিল সিবিআইয়ের তারা সেটাও করেনি। আসানসোলের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআই আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এর আগেও এ ভাবেই কাজ করেছে সিবিআই। কিন্তু আদালত সিবিআইকে জানিয়ে দেয়, এই প্রক্রিয়া সঠিক নয়। শুক্রবারের শুনানির পর অবশ্য সায়গলকে আটদিনের সিবিআই হেফাজত দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।