এই দম্পতিই আটকে পড়েছেন কুয়েতে। নিজস্ব চিত্র
কুয়েতের এক হোটেলে নিয়ম মেনে চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন আসানসোলের এক দম্পতি। তার পরে তাঁদেরই বাড়ি ছাড়া করা, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে গত চার দিন ধরে কুয়েতের আল ওয়ারফা শহরে তাঁরা আতান্তরে পড়েছেন বলে দাবি মহিশীলার বাসিন্দা সূর্যসারথি বাগ ও তাঁর স্ত্রী মহাশ্বেতাদেবীর। বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র অফিস।
কুয়েত থেকে ফোনে সূর্যসারথিবাবু জানান, দু’বছর আগে তিনি কুয়েতের একটি হোটেলে ম্যানেজারের চাকরি নেন। বছরখানেক আগে বিয়ে হয় আসানসোলেরই বাসিন্দা মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সম্প্রতি কুয়েতের ওই শহরে অন্য একটি হোটেল সংস্থায় কাজে যোগ দেন সূর্যসারথি। সেখানেই চাকরি পান তাঁর স্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘হোটেল-কর্তাদের কথামতো প্রথমে ঠিক ছিল, আমি ও আমার স্ত্রী একই জায়গায় কাজ করব। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই স্ত্রীকে অন্যত্র বদলি করায় আমরা নিয়ম মেনে চাকরি ছাড়তে চাই। কিন্তু, তাতে হোটেল কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। দেশে যাতে না ফিরতে পারি, সে জন্য পাসপোর্টও নিয়ে রেখেছেন ওঁরা।’’
ওই দম্পতির আরও অভিযোগ, হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের যে আবাসনে থাকতে দিয়েছিলেন, তা-ও গত বুধবার থেকে ছাড়তে হয়েছে। অভিযোগ, খুনেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কার্যত এক কাপড়ে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। দম্পতির দাবি, কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাসে গেলে সেখান থেকে শ্রম আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে আসানসোলের সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুলকে ই-মেল করেন বলে জানান বছর বত্রিশের সূর্যসারথিবাবু। তাঁর দাবি, তাঁকে ভারতীয় দূতাবাস থেকেও চিঠি লিখে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
শনিবার বাবুলের অফিস থেকে বলা হয়, মন্ত্রী পদক্ষেপের জন্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। সোমবার এ বিষয়ে আরও কিছু পদক্ষেপ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় ওই দম্পতির পরিবার। আসানসোলে বসে সূর্যসারথিবাবুর বাবা অচিন্ত্যবাবু বলেন, ‘‘ছেলে, বৌমা দেশে না ফেরা পর্যন্ত খুবই চিন্তায় রয়েছি।’’