কয়েক বছর ধরে ল্যান্ড লাইনের খদ্দেরই তেমন মিলছে না। মোবাইল পরিষেবা নড়বড়ে। ব্রডব্যান্ডের অবস্থাও তথৈবচ। এই অবস্থায় মঙ্গলবার দেশ জুড়ে দু’দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন বিএসএনএলের সব স্তরের কর্মী-অফিসারেরা। ফলে আজ, বুধবারেও বিএসএনএলের সব পরিষেবা শিকেয় উঠবে বলে গ্রাহকদের আশঙ্কা।
বিএসএনএলের দাবি, নতুন প্রযুক্তির জন্য এমনিতে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণ নেই। তবে জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্র ছাড়া অন্য কোথাও কেবল ফল্ট বা টাওয়ার ফল্ট হলে অথবা অন্য ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এই দু’দিন সেখানে মেরামতির কাজ করা যাবে না। কারণ, এই ধর্মঘটে বিএসএনএলের সব কর্মী-অফিসারই সামিল হয়েছেন।
ধর্মঘটের জেরে দেশ জুড়ে বিএসএনএলের পরিষেবা বিঘ্নিত হতে শুরু করেছে। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল পরিষেবার উপরে ধর্মঘটের প্রভাব বেশি। মোবাইলে এসটিডি কল করা যাচ্ছে না মাঝেমধ্যেই। কখনও কখনও সাধারণ লোকাল কলও যাচ্ছে না। বেসরকারি সার্ভিস প্রোভাইডার থেকেও অনেক সময় কল আসছে না বিএসএনএলে। অনেক সময় বেবাক নিশ্চুপ হয়ে থাকছে মোবাইল।
বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ, অলাভজনক সংস্থা আখ্যা দিয়ে বিএসএনএল তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। সংস্থায় উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ। এমনকী বিএসএনএলের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে অন্যত্র। ধর্মঘটীদের বক্তব্য, সরকারের ওই মনোভাবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে গ্রাহকদের। এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধেই ধমর্ঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ দিল্লিতে বলেন, ‘‘ইউপিএ (কংগ্রেস) জমানার নীতির জন্য এখন খেসারত দিতে হচ্ছে। তবে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসার পরে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেগুলি কার্যকর হতে সময় লাগবে।’’