সংবর্ধনা: দেশের প্রথম লোকপাল পিনাকীচন্দ্র ঘোষের (বাঁ দিকে) হাতে মানপত্র তুলে দিচ্ছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। পাশে স্বামী সুপর্ণানন্দ। শনিবার রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
বিপদে রক্ষা নয়, বরং বিপদকে ভয় না-করার ‘প্রার্থনা’ লিখেছিলেন রবি ঠাকুর। সেই গানের পংক্তিই তিনি জীবনের সব সময় মেনে চলেন বলে জানালেন দেশের প্রথম লোকপাল পিনাকীচন্দ্র ঘোষ। যিনি বলছেন, ‘‘সব সময়ই আমি মনে রেখেছি, কখনই আমার শিরদাঁড়া যেন বেঁকে না যায়। আমি যেন সোজা থাকি।’’
শনিবার রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের শিবানন্দ সভাগৃহে ভারতের প্রথম লোকপাল পিনাকীবাবুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘বাংলার নাগরিক মঞ্চ’। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, চিকিৎসক তথা সংগঠনের সভাপতি কুণাল সরকার, গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সুপর্ণানন্দ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি দেবাংশু বসাক-সহ অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা। এ দিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এত বছর পরে লোকায়ুক্তকে বাস্তবায়িত করার জন্য ভারত সরকারকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে আদ্যোপান্ত বাঙালি পোশাকে হাজির হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বাঙালি বিচারপতি পিনাকীবাবু নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, এ দিন তাঁর ঠাকুরদার কথা খুব মনে পড়ছে। কারণ ঠাকুরদা যখন উইল করছিলেন, সেই সময় তাঁকে ‘অ্যাটেস্টিং উইটনেস’ হতে বলেছিলেন। তাতে আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বাড়িতে বাবা, কাকারা তো রয়েছেন। ওঁদের কেন বলছেন না।’’ তখন ঠাকুরদা নাতিকে বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত, পরিবারের নাম তুই রক্ষা করবি। তুই সবচেয়ে উপরে যাবি।’
সেটাই আজ সত্যি হয়েছে বলেই মনে করেন ৬৭ বছরের পিনাকীবাবু। তবে অনেক সময় অনেক ব্যাপারে বিচলিত হয়ে পড়লে যাঁর জোর পেয়ে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন, সেই স্ত্রী দেবযানী ঘোষেরও এ দিন প্রশংসা করেন দেশের প্রথম লোকপাল।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।