জোড়া প্রতিবাদে আজ এবিভিপি-এসএফআই

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারের অশান্তির ঘটনার প্রতিবাদে আজ গোলপার্ক থেকে যাদবপুর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে এবিভিপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র।

একই জায়গায় একই দিনের ঘটনার প্রতিবাদে দুই ছাত্র সংগঠনের মিছিল ও জমায়েত। সেই জোড়া কর্মসূচি ঘিরেই আজ, সোমবার ফের উত্তেজনার আবহ যাদবপুরে।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারের অশান্তির ঘটনার প্রতিবাদে আজ গোলপার্ক থেকে যাদবপুর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে এবিভিপি। ওই মিছিলে তাদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া-সমর্থকেরা ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকেও কর্মীরা আসবেন। আবার আজ সকালেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে জমায়েতের ডাক দিয়েছে এসএফআই। যার স্লোগান— ‘স্টাডি অ্যান্ড স্ট্রাগল এগেনস্ট ফ্যাসিজম’। যাদবপুরে এবিভিপির বৃহস্পতিবারের তাণ্ডবকে ‘ফ্যাসিস্ত আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে এসএফআইয়ের প্রতিবাদ। এবিভিপি মিছিল করছে বামপন্থী ও নকশাল ‘নৈরাজ্যে’র হাত থেকে শিক্ষাঙ্গনকে মুক্ত করার ডাক দিয়ে। তাদের অভিযোগ, বামপন্থী পড়ুয়ারাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে অভব্যতা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন এবং তার পরে এবিভিপি-র ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন।

দুই সংগঠনের দুই কর্মসূচির জেরে গোলপার্ক থেকে যাদবপুর এলাকা জুড়ে ফের তৈরি হয়েছে উত্তেজনার বাতাবরণ। পুলিশ সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, দুই সংগঠনের মুখোমুখি হওয়া আটকাতে এবিভিপি-র মিছিলকে ঢাকুরিয়ার পরে এগোতে দেওয়া হবে না। এসএফআইকেও যাদবপুরের চার নম্বর গেট চত্বরের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।

Advertisement

এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার বলেন, ‘‘আমরা আমাদের কর্মসূচি করব। এসএফআই তাদের কর্মসূচি করবে। গোলমাল হলে দায় নিতে হবে প্রশাসনকে। আমরা তো প্রশাসনকে জানিয়েই মিছিল করছি। সুতরাং, পরিস্থিতি সামলানো তাদের দায়িত্ব।’’ এসএফআই জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ ভাবেই জমায়েতের ডাক দিয়েছে তাণ্ডবের প্রতিবাদ জানাতে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কে পি বসু মেমোরিয়াল হলে বৃহস্পতিবার এবিভিপি আয়োজিত ‘নবীন বরণ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীদের বাধার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ওই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক আগেই দিয়ে রেখেছিল এসএফআই। ওই দিন টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা মন্ত্রী আটকে থাকেন পড়ুয়া-বিক্ষোভে। বাবুলের বিরুদ্ধেও ‘অভব্য আচরণে’র অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘উদ্ধার’ করতে। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের ঘরে এবং চার নম্বর গেটের বাইরে তাণ্ডব চালায় এবিভিপি। দুই ঘটনায় অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে এখনও রাজনীতি সরগরম। দুই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ ফের রাস্তায় নামছে এবিভিপি এবং এসএফআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement