AIMIM

বিজেপি-এমআইএম মোকাবিলায় বৈঠক, আক্রমণ অধীরেরও

অধীরবাবু এ দিন বহরমপুরে বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র রাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন। এমআইএম-ও  সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৬
Share:

রাজভবনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর আবাসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের আলোচনা। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে বিজেপির উত্থান চান না সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ পথেই তাদের মোকাবিলা করতে চান। এই বার্তা সামনে রেখেই আগামী ১৪ জানুয়ারি কলকাতায় বৈঠক হতে চলেছে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যালঘু সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের। রাজ্যে এসে এমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ফুরফুরার আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের যে সলতে পাকিয়ে গিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতেই এমন তৎপরতা বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও বুধবার বিজেপির পাশাপাশি এমআইএম-কে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে আক্রমণ করেছেন।

Advertisement

অধীরবাবু এ দিন বহরমপুরে বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র রাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন। এমআইএম-ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘যদি মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মাথা ছাড়া দেয়, তা হলে সব চেয়ে লাভ হবে বিজেপি-রই। যারা দেশের ক্ষমতায় এসেছে, তাদের রাজনীতির মূল ধারাই সাম্প্রদায়িকীকরণ। ধর্মীয় মেরুকরণ যদি একটি শাসক দলের নীতি হয়, তবে তা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকেই নিয়ে যাবে।’’

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এ দিন রাজভবনে তাঁর আবাসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার পরে জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলায় কী করণীয়, তা নিয়ে ১৪ তারিখ বিস্তারিত বৈঠক হবে। তবে ওয়েইসি-আব্বাসদের জোটের ঘোষণাকে প্রকাশ্যে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি। সিদ্দিকুল্লার কথায়, ‘‘হাতির দাঁত দেখে আমরা বিচলিত হই না! খাওয়ার দাঁতটা কেমন, সেটা বুঝে নিতে হয়!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement