কাশীপুর উদ্যানবাটীতে এ বছর দেখা যাবে না এই দৃশ্য। ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে এ বার কল্পতরু উৎসবের দিন দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতেই এ হেন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন দুই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।
এখন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা এবং দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে রামকৃষ্ণ মঠ, কাশীপুর (উদ্যানবাটী)। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১ জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবের দিন থেকে ৩ জানুয়ারি, রবিবার পর্যন্ত ওই মঠে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। প্রতি বছরই কল্পতরু উৎসবে উদ্যানবাটীতে লক্ষাধিক ভক্ত আসেন। ৪০-৫০ হাজার ভক্তকে প্রসাদ দেওয়া হয়। মঞ্চ বেঁধে হয় সাংস্কৃতিক ও ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। কিন্তু এ বছর সব কিছুতেই রাশ টেনেছেন উদ্যানবাটী কর্তৃপক্ষ।
কাশীপুর রামকৃষ্ণ মঠের তরফে স্বামী পরেশাত্মানন্দ জানান, পয়লা জানুয়ারি প্রথা মেনে শ্রীরামকৃষ্ণদেব ও সারদাদেবীর ঘরে পুজো হবে। পাশাপাশি, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ঘরের নীচে মন্দিরে ভক্তিগীতি ও পাঠ পরিবেশন হবে। ওই অনুষ্ঠান এবং পুজো— সবই সরাসরি রামকৃষ্ণ মঠ, কাশীপুরের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল rkmc Udyanbati-তে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: জ্যান্ত পোড়ানোয় কি মৃত্যু কঙ্কাল-কাণ্ডে
আরও পড়ুন: আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারি কৌঁসুলির
অন্য দিকে, কয়েক লক্ষ লোকের ভিড় ঠেকাতে নতুন বছরের প্রথম দিন বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরও। মন্দির সূত্রের খবর, প্রতি বছর কল্পতরু উৎসবের দিনে কয়েক লক্ষ দর্শনার্থী আসেন। ভিড় সামলাতে ভোর চারটে থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখতে হয়। মন্দির ছাড়িয়ে বালি সেতু পেরিয়ে যায় ভক্তদের লাইন। পঞ্চবটীকে কেন্দ্র করে বসে মেলা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই জনাসমাগমের ঝুঁকি নিতে রাজি নন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: জিনিস ওঠানো, নামানো নিয়ে চিন্তায় উড়ান সংস্থা
আরও পড়ুন: ময়দান নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা, নড়ে বসল লালবাজার
ভবতারিণী মন্দির ও রামকৃষ্ণদেবের ঘরে বিশেষ পূজা ও হোম হলেও প্রবেশ বন্ধ থাকবে মন্দিরে। দিনভর বন্ধ থাকবে সিংহদুয়ার। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘অগণিত ভক্ত সমাগমে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা অসম্ভব। তাই কল্পতরু উৎসবে মন্দির বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় আমরা দুঃখিত।’’ ওই উৎসবের দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকছে বাগবাজারে মায়ের বাড়িতেও।