গ্রাফিক: নিরূপম পাল
নমুনা পরীক্ষা বেশি। তবু ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমল অনেকটা। নামল দু’শোর নীচেও। স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণের হারেও পতন হয়েছে অনেকটা। সুস্থতার হারও বেড়েছে। মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ জন। উত্তরের ৪ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় এক জনও নতুন আক্রান্ত নেই।
রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৮ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬২৩। শনিবার ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৭১। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২৫৫।
অথচ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা রবিবার বেড়েছে প্রায় ৬০০। স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণের হার নেমেছে অনেকটা। ফের নেমে এসেছে ১ শতাংশেরও নীচে। প্রতিদিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে যত রিপোর্ট পজিটিভ আসে তার শতকরা হারকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী এই হার ০.৯৩ শতাংশ। শনিবার এই হার ছিল ১.৩২ শতাংশ। রবিবার পর্যন্ত মোট সংক্রমণের হার ৬.৬৩ শতাংশ। রবিবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ২০ হাজার ২৫৯। শনিবার এই সংখ্য়া ছিল ১৯ হাজার ৬৬৫।
সংক্রমণের হার কখনও কমবেশি হলেও একমাত্র সুস্থতার হারই ক্রমাগত বাড়ছে। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী করোনামুক্ত হয়েছেন ২৩৭ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৮২। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৩।
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা গত ১ মার্চ শূন্যে পৌঁছেছিল। তবে তার পর থেকে ১ জন বা ২ জন করে মৃত্যু হচ্ছে। রবিবারও সেই প্রবণতা অব্যাহত। বুলেটিন অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে কোভিডের মোট বলি হলেন ১০ হাজার ২৭৮ জন।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কলকাতায়। বুলেটিন অনুযায়ী মহানগরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এই সংখ্যা ৩৯। এ ছাড়া হাওড়ায় ১৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৪ এবং বাঁকুড়ায় ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি জেলাগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং কালিম্পং এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ২৪ ঘণ্টায় এক জনও আক্রান্ত হননি।