গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
৫ দিন পর ফের স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের নামল চারশোর নীচে। যদিও টেস্টের সংখ্যা কম হওয়ায় বেড়েছে সংক্রমণের হার। তবে সুস্থতার হারে নিম্নগতি বজায় রয়েছে রবিবারও। অন্য দিকে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা নেমেছে ১০ এর নীচে।
কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই ধীরে ধীরে কমছে করোনার সংক্রমণ। রবিবারও সেই প্রবণতা কার্যত অব্য়াহত। স্বাস্থ্য দফতরেরে প্রকাশিত রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৯ জন। এই নিয়ে রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১০৩। করোনার সংক্রমণ কমতির ধরায় এর আগে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনই চারশোর নীচে নেমেছে। গত ১৮ জানুয়ারি সোমবারও রবিবারের সমান ৩৮৯ জনই আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর গত কয়েক দিন ধরে চার শতাধিক আক্রান্ত হচ্ছিলেন।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্টের সংখ্যাও কমেছে অনেকটাই। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী টেস্টের সংখ্যা ২৫ হাহজার ২০৭। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ২৪২। ফলে টেস্টের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার কমলেও সেই তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা নামেনি। ফলে বেড়েছে সংক্রমণের হার। ২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তার শতকরা হারকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা ‘সংক্রমণের হার’। রবিবার এই হার ১.৫৪। শনিবার ছিল ১.৪৫।
সুস্থতার নিম্নমুখী গ্রাফ অপরিবর্তিত। শনিবার সুস্থতার হার ছিল ৯৭.০৯ শতাংশ। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী সেই হার বেড়ে হয়েছে ৯৭.১১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৫৪ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৬৫ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৩২৩।
মৃত্যুর সংখ্যাও ধীর ধীরে কমতে কমতে ১০এর নীচে নেমে এসেছে রবিবার। তবে রাজ্যে সবচেয়ে কম কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জানুয়ারি বুধবার। ওই দিন মৃতের সংখ্যা ছিল ৬ জন। তার পর দু’দিন ১০-এর নীচে থাকার পর শনিবার ফের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডের বলি হয়েছেন ১০ হাজার ১১৫ জন।
জেলা ভিত্তিক হিসাবে সব জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গিয়েছিল ১০০-র নীচে। তবে রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনায় ফের নতুন আক্রান্তের সংখ্যা শতক পার করেছে (১৩০)। কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ জন।