ছবি এএফপি।
রাজ্যে নাইসেডে সরবরাহ করা কোভিড টেস্টের কিট ত্রুটিপূর্ণ। রবিবার টুইট করে এমনটাই অভিযোগ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন রাত ৮টা নাগাদ রাজ্য স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পাঁচটি টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ক’দিন ধরেই একটি গুঞ্জন চলছে যে, লালারসের নমুনার ফল পেতে পশ্চিমবঙ্গে অত্যধিক বেশি সময় লাগছে।’’ তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে পরবর্তী টুইটে। যেখানে বলা হয়েছে, দু’সপ্তাহ আগে নাইসেড কিট সরবরাহ করে। এবং সেই কিটকে ঘিরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই কিটে পরীক্ষার ফল বহুলাংশে অমীমাংসিত থাকছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফের পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এবং চূড়ান্ত ফল পেতে অনেকটাই দেরি হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের টুইটে বলা হয়েছে, ‘‘আগে যখন পূণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে কোভিড টেস্টের কিট সরবরাহ করা হয়েছিল, তখন এ রকম কোনও সমস্যা হয়নি।’’
সম্প্রতি নাইসেডের মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি ল্যাবগুলিতে কিট পৌঁছয়। স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, শুধু এ রাজ্যের সরকারি ল্যাবই এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা নয়। দেশের আরও কয়েকটি ল্যাবেও এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। পঞ্চম এবং শেষ টুইটটিতে সরাসরি দাবি করা হয়েছে, নাইসেডে সরবরাহ করা কোভিড টেস্টের কিট ত্রুটিপূর্ণ। যে কারণে কলকাতায় প্রচুর পরিমাণ নমুনা একাধিক বার পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এবং চূড়ান্ত ফল পেতে অনেকটাই দেরি হচ্ছে। যখন রাজ্য জুড়ে কোভিডের মতো একটি অতিমারির সঙ্গে লডা়ই চলছে, তখন এই বিলম্ব একটি বড় সমস্যা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। টুইটে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আইসিএমআর-কে এই বিষয়টির প্রতি অবিলম্বে দৃষ্টিপাত করতে বলা হয়েছে।
নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজ) কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর মেডিক্যাল রিসার্চ)-এর সহযোগী গবেষণা সংস্থা। কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর রাজ্যে প্রথম এক মাস শুধুমাত্র নাইসেডে এর পরীক্ষা হত। পরবর্তী কালে এসএসকেএম, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ-সহ সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে আরও ন’টি জায়গায় কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়। তবে চিকিৎসকদের অধিকাংশই নাইসেডের উপর নির্ভরশীল। বহু সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রও নিজেদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ফলাফল পাওয়ার পরও আরও নিশ্চিত হতে নাইসেডে লালারসের নমুনা পাঠিয়েছে সাম্প্রতিক কালে, এমনও উদাহরণ রয়েছে। সম্প্রতি নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত নিজেই দাবি করেছিলেন যে, কোভিড পরীক্ষার জন্য তাঁর সংস্থার পরিকাঠামো সবথেকে বড় এবং উন্নত।
যদিও এই টুইট প্রসঙ্গে নাইসেডের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। নাইসেডের অধিকর্তাকে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে, তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফলে এ বিষয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চিনের কিট চলে এল, রাজ্যে রেড জোনে শুরু হতে যাচ্ছে র্যাপিড টেস্ট
আরও পড়ুন: গ্রিন জোন পূর্ব বর্ধমানেও এ বার ঢুকে পড়ল করোনা
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)