গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস
শেষ কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অবশেষে সোমবার সামান্য কমল সেই সংখ্যা। রবিবার রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ১৬, সোমবার সেই সংখ্যা কমে হল ২২ হাজার ৭৪০। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও নেমে এসেছে ২ হাজারের নীচে। শেষ ৫ এপ্রিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজারের নীচে, ২১ জুন স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুসারে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৭৯। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৮৬ জন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৮৬ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৩৯০ জনের। রবিবারের তুলনায় কমেছে সংক্রমণের হারও। রবিবার সংক্রমণের হার ছিল ৪.৬৯ শতাংশ, সোমবার সেই সংক্রমণের হার কমে দাঁড়াল ৪.৫৭ শতাংশে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪৭ হাজার ৭৭১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
জেলায় সংক্রমণের বিচার করলে এখনও সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে ২৯৫ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণের বিচারে কলকাতায় পাশেই উঠে এসেছে হুগলি। দুই জেলাতেই শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৭১ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২৮ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। হাওড়ায় ১৩০, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৭৮, নদিয়ায় ও দার্জিলিঙে ১১৭ জন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ঘোষণা অনুসারে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের বিনামূল্যে টিকাকরণ শুরু হলেও পশ্চিমবঙ্গে টিকার সরবরাহের অভাবে তা এখনও শুরু করা যায়নি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণের হার ছিল অনেকটাই কম। একদিনে ৭৯ হাজার ৬৩১ জনের টিকাকরণ করা হয়েছে রাজ্যে।