Coronavirus

যুবকের মৃত্যু, বিতর্কে পুলিশ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালচাঁদ জড়িবুটি বিক্রি করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৪:০২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

লকডাউন সত্ত্বেও বুধবার রাতে কিছু লোক জটলা করছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইলের রাজগঞ্জে। ভিড় হটাতে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় এক যুবকের অপমৃত্যু হয়। পুলিশের লাঠির ঘায়েই লালচাঁদ স্বামী (৩২) নামে ওই যুবক মারা যান বলে অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। এলাকায় বিক্ষোভও হয়।

Advertisement

পুলিশ অভিযোগ মানেনি। ওই এলাকাটি হাওড়া সিটি পুলিশের আওতাধীন। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়ালের দাবি, ‘‘লালচাঁদ বাড়ির শৌচাগারে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কিছু লোক এটিকে পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত্যু বলে যে অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালচাঁদ জড়িবুটি বিক্রি করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন।

Advertisement

এ দিন রাত ৮টা নাগাদ আরও কয়েক জনের সঙ্গে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। খবর পেয়ে ভিড় হটাতে পুলিশ আসে। পুলিশ লাঠি হাতে এগোতেই ভিড় সরে যায়। তার পরেই লালচাঁদকে অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের লোকজন হাজি এস টি মল্লিক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকায় এ খবর পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

সাঁকরাইল থানায় এক পুলিশ অফিসারের দাবি, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও ওষুধপত্র কিনতে পারছিলেন না ওই যুবক। তাঁর রোজগার অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। পুলিশ দেখে ভয়েই তিনি হৃদরোগে মারা যান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement