হোটেল খোলা থাকলেও ঘর পেতে সমস্যা হল পর্যটক দলের।—ফাইল চিত্র।
কলকাতায় ফিরেও ভুলতে পারছেন না রাতভর হয়রানির ঘটনা। ৮ জুন, সোমবার থেকে দিঘা-মন্দারমণির হোটেল খোলার সরকারি ঘোষণা শুনে কলকাতা থেকে জনা ছয়েকের এক পর্যটক দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্দারমণিতে পৌঁছন। কিন্তু হোটেলে ঘর না পেয়ে চূড়ান্ত হয়রানির জন্য শেষ পর্যন্ত কলকাতায় ফিরে আসতে হয় তাঁদের।
ভবানীপুরের ওই পর্যটক দলের এক সদস্য দিব্যাংশু গুছাইত বলেন, ‘‘লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে সস্ত্রীক দুই বন্ধুকে নিয়ে ৬ জন মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ মন্দারমণিতে পৌঁছই। একটি হোটেলে উঠেছিলাম। কিন্তু রাতে কিছু স্থানীয় লোক এসে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান, হোটেলে কাউকে রাখা যাবে না। আমাদের বের করে দিতে হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও এবং সঙ্গে মহিলা আছে বলার পরেও হোটেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের চাপে তাঁদের রাখতে রাজি হননি। অন্য হোটেলও তাঁদের জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে রাতভর সৈকতেই কাটাতে হয় তাঁদের। সকাল হলে কোথাও খাবার না-পেয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতার পথ ধরেন তাঁরা।
দাদনপাত্রবাড়, দহসোনামুই, মন্দারমণি, সিলামপুর পাঁচটি মৌজায় ১৩৩টি হোটেল রয়েছে। লকডাউনের শুরু থেকে ওই সব হোটেল বন্ধ ছিল। আপাতত পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় রাজ্য সরকারের নির্দেশে হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত নেন সেখানকার হোটেল-মালিকেরা। কিন্তু বেঁকে বসেন স্থানীয়েরা। গত ৬ জুন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগও জানান তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।
তবে ঘটনায় ক্ষুব্ধ হোটেল-মালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, এ ভাবে পর্যটকদের হয়রানি করা হলে বড় ক্ষতি হতে পারে। বুধবার স্থানীয় হোটেল-মালিকরা জরুরি বৈঠকও করেন। যদিও পর্যটকদের হয়রানির বিষয়ে কালিন্দী পঞ্চায়েত প্রধান স্বপনকুমার দাস বলেন, ‘খাবারের দোকান বন্ধ। তবে হোটেলে ঘর না-পাওয়ার ঘটনা জানা নেই। প্রত্যেকে যাতে হোটেল খুলতে পারেন, সে জন্য শনিবার বৈঠকে ডাকা হয়েছে।’’ রামনগর-২ এর বিডিও অর্ঘ্য ঘোষকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।