প্রতীকী ছবি
পেশায় ট্রাকের খালাসি এক যুবক বিহারের পাটনা থেকে কয়েকদিন আগে খড়্গপুরের খরিদায় নিজের বাড়ি ফেরেন। শনিবার গায়ে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো নিয়ে উপসর্গ নিয়ে ওই যুবককে ঘুরে বেড়াতে দেখে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার সকালে পুলিশকে বলার পরে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সেখান থেকে ওই যুবক পালিয়ে ফের এলাকায় ফিরে আসে। শনিবার রাতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।
রবিবার সকালে ফের এলাকাবাসী সরব হতে পৌঁছয় পুলিশ। অ্যাম্বুল্যান্সে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পরে আইসোলেশনে রাখার পরামর্শ দেয়। খড়্গপুরের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, “বাইরের রাজ্য থেকে আসা ওই যুবক জ্বর, কাশি নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ানোয় উত্তেজনা ছিল। মনে হচ্ছে ওই যুবক যক্ষ্মায় আক্রান্ত। পরীক্ষা করা হচ্ছে।”
এক রোগীকে নিয়ে একাংশ শহরবাসীর এমন সচেতন চেহারা দেখা গেলেও লকডাউন মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুলিশের নজর এড়িয়ে রাস্তায় অকারণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের একাংশ যুবক। রবিবার সকালে বাজারে দেখা গিয়েছে হুড়োহুড়ি। মাঠে সরে আসা বাজারে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা গিয়েছে বিক্রেতাদের। ভবানীপুরের বাসিন্দা আশিস রায়ের ক্ষোভ, ‘‘কিছু মানুষ গায়ের ওপর এসে কেনাকাটা করছে। এটা কী হচ্ছে!”
বিএনআর ময়দানে পুলিশ হানা দিয়ে বাজারে দোকানিদের পসরা মাঠে ছড়িয়ে দিলে কিছুটা ফাঁকা হয় বাজার। তবে সুভাষপল্লি, কুমোরপাড়া, খরিদা, ভবানীপুর, ঝাপেটাপুর, ইন্দা, সোনামুখীর গলিপথে আড্ডা চলেছে। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “গত দু’দিন ধরেই আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় কড়া পদক্ষেপ করছে। প্রয়োজনে আরও বেশি নজর দেওয়া হবে।”