গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বৃহস্পতিবার রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৮৩। শুক্রবার সেই সংখ্যাটা এক ধাক্কায় ৩ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেল। আর কলকাতায় নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১ হাজার ছুঁইছুঁই। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষে আরও উদ্বেগের বিষয়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে যত জনের পরীক্ষা হয়েছে তাঁদের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ১০ জনেরও বেশি।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৮। যেখানে এপ্রিলের প্রথম দিনে সংক্রমণ ছিল ১ হাজার ২৭৪। দৈনিক সংক্রমণের হার বৃহস্পতিবার ৮.৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে একলাফে পৌঁছে গিয়েছে ১০.১০ শতাংশে। কলকাতায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৭ জন। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮৪। রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৬০৩।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে, আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পরেই রয়েছে হাওড়া। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২২৩। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছে ২১৪ জন। বীরভুম জেলাতেও বাড়ছে সংক্রমণ। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০৮ জন। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে নতুন করে ১৯১ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। হুগলি জেলাতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২১২ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ০৬ হাজার ৪৫৫। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩৬ হাজার ১১৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৬ লক্ষ ০৬ হাজার ৪৫৫-এ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৭৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৮ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮-এ। বৃহস্পতিবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সারা দেশে টিকা উৎসব পালনের কথাও বলেছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও সমান তালে চলছে টিকাকরণের কাজ। শেষ ২৪ ঘণ্টার রাজ্যে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৭৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মোট টিকাকরণের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ লক্ষ ১২ হাজার ৬৯৪-এ।