প্রতীকী ছবি।
করোনার দৌরাত্ম্য সামলাতে গিয়ে গত বছর থেকে অন্যান্য অসুখের চিকিৎসা ব্যাহত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। অতিমারির মোকাবিলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী থেকে শুরু করে প্রশাসনকে পর্যন্ত এমন ভাবে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে যে, সুগার, রক্তচাপ, ক্যানসার, সিওপিডি-র মতো বিবিধ অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা কোথাও কোথাও প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। বহু ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই বললেই চলে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করায় এ বার ওই সব নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ় (এনসিডি)-এর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
এই বিষয়ে জেলাগুলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিসক অনির্বাণ দলুই এবং অন্য কর্তারা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩০ বছরের বেশি বয়সের সকলকেই স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হবে। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও মেডিক্যাল অফিসার পাঠানোর ব্যবস্থা হবে চলতি সপ্তাহেই। সিওপিডি-র চিকিৎসার জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ক্লিনিক চালাতে হবে। সেই সঙ্গে চটজলদি সুগার মাপার জন্য সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গ্লুকোস্ট্রিপস এবং রক্তচাপ ও সুগারের ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
আজ, মঙ্গলবার থেকেই সব জেলায় এনসিডি ক্লিনিক চালু করার উপরে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। শহরের থেকেও গ্রামে ওই প্রকল্পে বেশি জোর দিতে চায় তারা। কারণ, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আশাকর্মীরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত খোঁজ নেন, পর্যবেক্ষণ করেন। করোনার জন্য শহর ও গ্রামে সেই সব কাজ বন্ধ ছিল। এক আধিকারিক বলেন, “কোভিডের কারণে প্রায় দেড় বছর এনসিডি-র প্রকল্পে গতি ছিল না। আশা করছি, জুলাই থেকে পুনরায় পুরোদমে কাজ শুরু হবে।” এ দিনও রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা রয়েছে তিন হাজারের ঘরে। নতুন করে আক্রান্ত ৩৫১৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের।