মাস্ক পরা বাধ্যতামূক হল রাজ্যে।—ছবি পিটিআই।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশের ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারির পর এ বার মাস্ক। করোনা-সংক্রমণ রুখতে মাস্ক বা মুখাবরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার। এই মর্মে রবিবার মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ একটি নির্দেশিকা জারি করেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মানুষজন বাইরে বেরলে যে কোনও ধরনের মুখাবরণ থাকা আবশ্যক। সেই মুখাবরণ মাস্ক হতে পারে, দোপাট্টা বা গামছা হতে পারে। এমনকি যে কোনও কাপড়ের টুকরো বা রুমালও, যা নাকমুখ ঢাকতে পারে, তা হতে পারে।
এ দিনের নির্দেশিকায় মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, মুখাবরণ ব্যবহার করলে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের গতি অনেকটাই রোধ করা যায়। এবং সেই কারণেই সকলের মুখাবরণ ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুখাবরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল সরকারের অন্দরে। ইতিমধ্যেই ভারতের কয়েকটি রাজ্যে মুখাবরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চিকিত্সকদের একাংশের দাবি, যেহেতু ড্রপলেট থেকেই এই রোগ ছড়ায়, সেহেতু প্রকাশ্যে মুখাবরণের ব্যবহার সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী পদক্ষেপ। ওই চিকিৎকদেরই একটি অংশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, যখন কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ তৃতীয় পর্যায়ের দোরগোড়ায় পৌঁছয়, অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে মুখাবরণের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা স্বীকার করা হয়নি, তবে সরকারের এই পদক্ষেপ তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছেন এ চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় বাড়তি বিধিনিষেধ কী কী? হাওড়ায় যা দেখা যাচ্ছে
ইতিমধ্যেই দিল্লি, মুম্বই, আমদাবাদের মতো শহর ও উত্তরপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতো রাজ্যে মাস্ক বা মুখাবরণ পরা বাধ্যতামূলক করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি অফিসের আধিকারিকদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ওই সব অফিসে কেউ গেলে, তাঁকেও মুখাবরণ পরতে হবে। অন্য দিকে, লাদাখের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষজনের পাশাপাশি সমস্ত সরকারি আধিকারিক এবং ওই অঞ্চলে নিযুক্ত সেনাকর্মীদের উপর এই নিয়ম বলবৎ হবে। এই নির্দেশ অমান্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও জানানো হয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)