COVID-19 Test

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোলা চত্বরে কোভিড টেস্টের ব্যবহৃত কিট, সংক্রমণের আতঙ্ক মেমারিতে

স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, কোভিড টেস্টের ব্যবহৃত কিটগুলি ব্লক বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু যত দিন তা নিয়ে যাওয়া না হয়, তত দিন তা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরেই কোনও বদ্ধ জায়গায় সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড বা ব্লিচিং পাউডার  দিয়ে রেখে দিতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:১৮
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য তথা দেশ জু়ড়ে করোনার টিকাকরণের দিনেই নতুন করে সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির বাসিন্দারা। মেমারির একটি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চত্বরে কোভিড টেস্টের ব্যবহৃত কিট পড়ে থাকায় রীতিমতো সন্ত্রস্ত সেখানকার রোগী থেকে শুরু করে আশপাশের লোকজন। গোটা ঘটনায় ব্লক তথা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। যদিও এ বিষয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

শনিবার মেমারির পাল্লারোড প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের খোলা জায়গায় কোভিড টেস্টে ব্যবহৃত কিট পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে সেখানে স্পুটাম, কোভিড টেস্টের খালি কৌটো-সহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নানা বর্জ্যও পড়েছিল। এর জেরে ওই এলাকায় করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপন সরকার বলেন, ‘‘আমি যত দূর জানি, কোভিডের জীবাণু লালারসের সঙ্গে খোলা জায়গায় বেশ কয়েক ঘণ্টা বাঁচতে পারে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কী ভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করলেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না। এগুলি দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: অনেকেই নিলেন না কোভিশিল্ড, থমকে গেল ১৬ হাজারেই, আগামী সপ্তাহে ৪ দিন

আরও পড়ুন: করোনা টিকার আবাহনের দিন বিয়োগ বিসর্জন মনে পড়ছে ওঁদের

স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, কোভিড টেস্টের ব্যবহৃত কিটগুলি ব্লক বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু যত দিন তা নিয়ে যাওয়া না হয়, তত দিন তা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরেই কোনও বদ্ধ জায়গায় সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে রেখে দিতে হবে। তা না হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কিন্তু সেই ব্যবহৃত কোভিড কিট কী ভাবে খোলা জায়গায় রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যয়নি।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার অপরাজিতা চট্টোপাধ্যায় নিজেই কোভিডে আক্রান্ত। ফলে এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ব্লক এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর কেন এ ব্যাপারে নজর রাখছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা ভুবনেশ্বর সরকার বা কামেশ্বর রানাদের দাবি, এই কিটগুলি যাতে অতি দ্রুত নষ্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য প্রশাসনের নজর রাখা উচিত বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

এই বিষয়ে মেমারি ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হর্ষ ঘোষের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেছিল। তাঁর দাবি, ‘‘এ রকম কোনও খবর আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement