রয়টার্সের প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন রাজ্যের শাসক দলের এক সাংসদের বাবা। স্বাস্থ্য সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় কিছু দিন আগে ওই বৃদ্ধকে ইএম বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার রাতে সেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর শরীর সংক্রমণমুক্ত বা করোনা-নেগেটিভ হয়নি বলেই ওই সূত্রের দাবি। ফলে আপাতত তিনি পূর্ব কলকাতায় ‘হোম-কোয়রান্টিন’ বা গৃহ-নিভৃতবাসে থাকবেন।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সম্প্রতি রাজ্য সরকার পরামর্শ দিয়েছে, করোনার উপসর্গ থাকলেও বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকেই চিকিৎসা করানো যেতে পারে। সে-দিক থেকে শাসক দলের সাংসদের বাবাই রাজ্যে সেই চিকিৎসা-পদ্ধতির প্রথম রোগী। এ ক্ষেত্রে পৃথক ঘরে নিভৃতবাস এবং ২৪ ঘণ্টা নির্দিষ্ট ‘কেয়ার গিভার’ রেখে সুরক্ষা-পদ্ধতি অবলম্বন করেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। ‘‘গরিব মানুষ বা আমজনতা বাড়িতে এত নিয়মবিধি মেনে চিকিৎসা করাতে না-পারলেও সাংসদের পক্ষে হয়তো এই পদ্ধতি মেনে বাবাকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব,’’ বলেন এক চিকিৎসক।
যদিও জনস্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, এই পদ্ধতিতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ, অনেক সময়েই সংক্রমণ শুরুর দ্বাদশতম দিনে ফের কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তা ঠিকমতো নজরে না-এলে আশপাশের লোকজনের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ওই বিশেষজ্ঞদের মতে, রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও অন্তত দু’দিন পর্যবেক্ষণে রেখে ছুটি দেওয়াটাই নিয়ম। রোগীকে তড়িঘড়ি ছেড়ে দিলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ১০৫ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, তবে করোনার কারণেই মৃত ৩৩: নবান্ন
আরও পড়ুন: সংক্রমণ সাগর দত্ত হাসপাতালে, ১৭ চিকিৎসক-সহ কোয়রান্টিনে ৩৬
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)