ছবি পিটিআই।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনটি টাস্ক ফোর্স গঠন করল রাজ্য সরকার। নিয়ন্ত্রণ রাখা ও তা শিথিল করার বিষয়টি দেখভাল করবে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স। পাশাপাশি, আর্থিক ও এনফোর্সমেন্ট বিষয়ে যথাক্রমে অর্থসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে পৃথক দু’টি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে নতুন করে দু’জন করোনা আক্রান্ত হলেও বেশ কয়েক জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৯ জন। বুধবার দু’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় তা বেড়ে হয়েছে ৭১। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘১১টি পরিবার থেকেই ৬১ জন আক্রান্ত রয়েছেন। অর্থাৎ গড়ে ৬-৭ জন করে। সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি বলেই এটা হয়েছে। নিজেকে এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে বিধি মেনে চলুন। দরকারে খাবার থালায় নাম লিখে রাখুন। নিজের নিজের থালা ব্যবহার করুন।’’
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কমিটি সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে, আঞ্চলিক ভাবে কোয়রান্টিন ও জিয়োগ্রাফিকাল কোয়রান্টিন করতে পারলে স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ১৬ জনের চিকিৎসা চলছে। ৩ জন সুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আরও দু’জনের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হয়েছে। তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। করোনা-চিকিৎসায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ দেখভালের দায়িত্ব চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালিকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি আপাতত সেখানেই থাকবেন। ওই হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করে সরকারকে রিপোর্ট দেবেন চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী।