প্রতীকী ছবি।
মে মাসে ১৮ লক্ষ টিকা এসেছিল। জুনে রাজ্যে করোনার ২২ লক্ষ টিকা আসবে বলে সোমবার নবান্নে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকা কেনার জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার কমছে। সেই তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, রাজ্যে সংক্রমণের হার ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ১৮-১৯ শতাংশ হয়েছে। মৃত্যুহারও কমছে। সেটা আগে ছিল ১.৬৭ শতাংশ। এখন তা ০.৫৬-তে নেমে এসেছে। এ দিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। তাঁদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ৩৩ জন এবং কলকাতার ২৮ জন বাসিন্দা রয়েছেন। মমতা জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যের ১.৪ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সুপার স্প্রেডার হিসেবে চিহ্নিত ন’লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
সংক্রমণে লাগাম টানতে রাজ্য জুড়ে চলছে কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি। তার জেরে দ্রুত গতিতেই নামছে দৈনিক আক্রান্তের হার। এ দিন রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০,১৩৭ জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৪১ দিনের ব্যবধানে আবার মিলে গেল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। দু’টিই ১০ হাজারের ঘরে। এ দিন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের ঘরে। এর আগে, ২১ এপ্রিল রাজ্যে সংক্রমিত হন ১০,৭৮৪ জন। তার পর থেকে রোজই লাফিয়ে বাড়ছিল সংক্রমণ। ১৪-মে-র পর থেকে সেটা আবার নামতে শুরু করে। এ দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ১৭,৮৫৬ জন। এমনকি দীর্ঘদিন পরে রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও এক লক্ষের নীচে নেমে এসেছে। এ দিন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৭,০৪৮।
গোটা রাজ্যেই সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। দৈনিক আক্রান্তের তালিকার প্রথমে থাকা দুই জেলা উত্তর ২৪ পরগনা আর কলকাতাতেও সংক্রমণ কমছে। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় ২৩৭৬ এবং কলকাতায় ১৩২৪ জন আক্রান্ত। পাঁচটি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ পাঁচশো থেকে ৮০০-র ঘরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৭০, হাওড়ায় ৭৯২, হুগলিতে ৬৫৮, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫০৪ এবং নদিয়ায় ৫৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।