Coronavirus in West Bengal

অজান্তেই করোনা, সেরেও উঠেছেন অনেকে, জানাচ্ছে কলকাতার সেরো সমীক্ষা

কলকাতার ৩৯৬ জন বাসিন্দার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৭ জনের রিপোর্টই পজিটিভ এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ২১:৩৭
Share:

শরীরে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষার নামই সেরোলজিক্যাল টেস্ট। —ফাইল চিত্র।

অজান্তেই করোনায় আক্রান্তে হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হওয়ায় তাঁরা সেরেও উঠছেন। কলকাতা-সহ ছয় জেলায় করা সেরোলজিক্যাল সার্ভে-তে (আইজিজি পরীক্ষা) এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

সম্প্রতি কলকাতার ৩৯৬ জন বাসিন্দার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৭ জনের রিপোর্টই পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ ১৪ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আবার সেরেও উঠেছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এ রাজ্যের আরও পাঁচ জেলায় সেরোলজিক্যাল সার্ভে করেছে। তবে তা কলকাতার থেকে শতাংশের হিসাবে অনেকটাই পিছিয়ে।

একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিফ এগজিকিউটিভ, চিকিৎসক সুদীপ মিত্র বলেন, “এই ১৪ শতাংশ মানুষ কোনও ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তাঁরা সেরেও উঠেছেন। আইজিজি টেস্টের ফলে জানা যাচ্ছে, তাদের শরীরের অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে।”

Advertisement

আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০০, উদ্বেগজনক নয় বলে জানাল পুরসভা

বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে রোগের বিস্তার সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায় এই সার্ভের মাধ্যমে। শরীরে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষার নামই সেরোলজিক্যাল টেস্ট। অ্যান্টিবডি হল বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন যা শরীরে কোনও জীবাণু প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিভিন্ন অ্যান্টিবডির মধ্যে সব থেকে শক্তিশালী ইমিউনোগ্লোবিউলিন-জি বা আইজি-জি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে এরাই আমাদের বাঁচায়।

রক্ত পরীক্ষা করে আইজিজি পাওয়া গেলে বোঝা যায়, সেই মানুষটি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই রক্ত পরীক্ষা আরটিপিসিআর টেস্টের মতো সময়সাপেক্ষ ও জটিল নয়। তাই প্রাথমিক ভাবে এই টেস্ট করে রোগী শনাক্ত করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৫২১, এক দিনে মারা গেলেন ১৩ জন

এ রাজ্যের কী পরিস্থিতি, তা জানতেই আইসিএমআর এই সার্ভে করে। কলকাতা ছাড়াও আলিপুরদুয়ার বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে এই টেস্ট করা হয়। প্রতিটি জেলাতেই ৪০০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

আলিপুরদুয়ারে ৪ জনের (১ শতাংশ) রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। বাঁকুড়াতে ১ (.২৫ শতাংশ), ঝাড়গ্রামে ১ (.২৫ শতাংশ), দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ১০ জনের (২.৫০) রিপোর্ট পজিটিভ। এই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই আইসিএমআর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement