কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের দক্ষিণ এবং উত্তরাংশে করোনা-রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর মিলল শুক্রবার। ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেডিসিনের প্রবীণ চিকিৎসক তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে (৭৮) এ দিন সকালে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষ দিনে চব্বিশ ঘণ্টায় কার্যত পঁচিশশোর (২৪৯৬) ঘরে পৌঁছল আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত এক দিনে সংক্রমণের নিরিখে এটিই রাজ্যের সর্বোচ্চ আক্রান্তের পরিসংখ্যান। বৃহস্পতিবার এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৬ জন। রেকর্ড মৃত্যুর সেই পরিসংখ্যান থেকে এ দিনের বুলেটিনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা হল ৪৫ জন। ৪৫ জনের মধ্যে শুধু কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২১। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের পরিসংখ্যান হল যথাক্রমে ৬৭০ এবং ৬৪৪। বুলেটিনের পরিসংখ্যান বলছে, আর ২৬টি কেস হলেই কলকাতাকে ছুঁয়ে ফেলত উত্তর ২৪ পরগনা।
বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেডিসিনের প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক গত ২৩ জুলাই ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। মাস দু’য়েক আগে তাঁর বুকে স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। কোভিডের পাশাপাশি বয়সজনিত কারণে বেশ কিছু অন্য অসুখও ছিল। প্রথম দিন থেকে প্রবীণ চিকিৎসককে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়েছিল। একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকের মৃত্যুতে চিকিৎসক মহলে এ দিন ছিল শোকের আবহ।
আরও পড়ুন: স্থানীয়দের ‘আপত্তি’তে কোভিড পজিটিভ বৃদ্ধের দেহ পড়ে রইল ১১ ঘণ্টা
তবে মৃত্যু-দুঃসংবাদের পাশাপাশি এ দিনের বুলেটিনে সুখবরও রয়েছে। রাজ্যের করোনা মানচিত্রে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬৯ শতাংশ। এ দিন তৃণমূলের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, গত ১০ দিনে রাজ্যে সুস্থতার হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় গড়ের থেকেও এই মুহূর্তে বঙ্গের সুস্থতার হার বেশি বলে টুইট করে জানিয়েছে শাসক দল। এ দিনের বুলেটিন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কেস পজ়িটিভিটির হার হল ১৩.১৩ শতাংশ। নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা যেখানে ২৪৯৬ জন সেখানে চব্বিশ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১১৮ জন।
আরও পড়ুন: সংক্রমিতদের নাম ছড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে, উঠছে প্রশ্ন
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)