এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পর পর দু’দিন এক ধাক্কায় রাজ্যে টিকাকরণের হার কমল অনেকটা। দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমলেও সোমবারের মতো মঙ্গলবারও সংক্রমণের হার রইল সাড়ে ৩ শতাংশের উপরে। ফলে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্বে উদ্বেগ জিইয়ে রইল। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আবহে মিছিল বা প্রচারে জমায়েতের জেরে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রবিবার টিকাকরণ হয়েছিল মাত্র ১,২৮৯ জনের। মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, সোমবার টিকা দেওয়া হয়েছে ২১ হাজার ৮৯১ জনকে। অথচ, রাজ্যে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা এর আগে একাধিক বার ৩ লক্ষও ছাপিয়ে গিয়েছে।
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলেও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা সেই তুলনায় বাড়েনি। সোমবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ১১৬ জনের। মঙ্গলবার তা আরও কিছুটা কমেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৮৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬২৮। সোমবার তা ছিল ৬৩৯। শনি এবং রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮১২ এবং ৮২৭। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। সোমবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৩.৫৩ শতাংশ। মঙ্গলবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ৩.৫১ শতাংশ।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে কলকাতা, যেখানে মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছে ২৬৫ জন। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় দৈনিক সংক্রমিত ১৪৫। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিন থেকেই আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষ স্থানে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে হাওড়ায়। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৯), হুগলি (১৬), পশ্চিম বর্ধমান (১৬), মুর্শিদাবাদ (১৩), নদিয়া (১২) এবং বাঁকুড়া (১০)-য় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এর মধ্যে ১ জন কলকাতা এবং আর এক জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। রাজ্যে এই নিয়ে মোট ১০ হাজার ৩২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের তালিকায় শীর্ষে কলকাতা (৩,১২২) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (২,৫৩২)।