—ফাইল চিত্র।
সংক্রমণের লেখচিত্র সর্বত্রই ঊর্ধ্বমুখী। তাই সংশোধনাগারের সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলার ‘প্ল্যান-বি’ প্রস্তুত রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। বুধবার তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন কারা দফতরের কর্তারা। এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারের সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কারা দফতরের কর্তারা। সেখানে সংশোধনাগারের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সংক্রমণের গতি যে ভাবে বাড়ছে, তাতে কোথায় কী ভাবে কে সংক্রমিত হবেন, তার আগাম আঁচ করা কার্যত অসম্ভব। আর তা দু’মাসে শিখরে পৌঁছে যাওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। এ দিন নবান্নে সে কথা উল্লেখও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য ‘প্ল্যান বি’ ছকে ফেলতে হবে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে।
‘প্ল্যান বি’ কী? সংশোধনাগারের কর্মী-আধিকারিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাঁদের দিয়ে জেলের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। তাই সেখানে কী ভাবে কোনও কর্মী-আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে, দেওয়া হলে কী ভাবে তিনি কাজ করবেন, তার পরিকল্পনা করবেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত কর্মী বা আধিকারিকের চিকিৎসার জন্য কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তার পরিকল্পনাই তৈরি রাখতে হবে তাঁদের। তবে সংশোধনাগারে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়লে হাতে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে বলেই মনে করেন কারা-কর্তারা। তবে আক্রান্ত কাউকে কোনও ভাবেই ‘অচ্ছুত’ করে রাখা যাবে না। বরং তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, পরিষেবা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তা দেখার জন্য সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েছেন কারা-কর্তারা।
দেশের মতো বঙ্গেও কোভিড-১৯ ক্রমশ দাপট বাড়াচ্ছে। তার আঁচ লাগতে শুরু করেছে বঙ্গের বিভিন্ন সংশোধনাগারে। লৌহকপাটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনেকের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা নেই বললেও ‘ভুল’ বলা হবে, তা মানছেন অনেক কারা-কর্তাই। বন্দিদের নিয়ে অবশ্য চিন্তার কারণ এখনও ঘটেনি দফতরের কর্তাদের। এক কর্তা বলেন, ‘‘এখনও সংশোধনাগারে চিত্র উদ্বেগজনক নয়। তবে যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, কত দিন সব ভাল থাকবে!’’