চুঁচুড়ার টিকাকরণ কেন্দ্রে ঝোলানো নোটিস। নিজস্ব চিত্র।
হুগলি জেলায় বড় সরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপাশি পুর এলাকাগুলির স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পঞ্চায়েত উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও শুরু হয়েছিল গণ টিকাকরণ কর্মসূচি। বহু মানুষকে সেখানে সকাল থেকে লাইন দিয়ে টিকা নিতে দেখা গিয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে। ১ মে থেকে ১৮ বছর এবং তার বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে জন্য অনলাইনে নাম রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই টিকাকরণ আদৌ শুরু হবে কি না, তা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি বলে খবর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। বস্তুত, টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়া নিয়েই অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নোটিস ঝুলিয়ে ‘করোনা টিকার স্টক নেই’ বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরেই জেলার কোনও টিকাকরণ কেন্দ্রে রাত থেকে লাইন পড়ছে। কোথাও বা ভোর থেকে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাচ্ছেন না, অনেকে এমন অভিযোগও করছেন। এর মধ্যে টিকার জোগান না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক ‘ভ্যাকসিন সেন্টার’। চুঁচুড়া সায়েরার মোড়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া চলছিল। কিন্তু বুধবার সকালে সেই টিকাকরণ কেন্দ্রে ‘স্টক নেই’ নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অনেক মানুষ ফিরে যান টিকা নিতে এসে। অন্যদিকে, জেলা হাসপাতালে ভিড় উপচে পড়ে। টিকা নেওয়ার জন্য ছিল দীর্ঘ লাইন। কুপন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ৫-৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর মেলে টিকা। অনেকে আবার দীর্ঘ অপেক্ষার পরও টিকা না পেয়ে ফিরে যান বলে অভিযোগ।